প্রথম পর্বেই নজর কাড়ল রাঙামতি! তিরন্দাজির কামালে জঙ্গলি হাতিকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে বনদপ্তরকে সাহায্য করল সে

ইষ্টিকুটুমের পর স্টার জলসায় ( Star Jalsha ) ফের আদিবাসী নায়িকাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘রাঙামতি তিরন্দাজ’ ( Rangamoti Tirandaj )। সোমবার থেকে টেলিভিশনের ( Television ) পর্দায় শুরু হতে চলেছে নয়া এই মেগা। নতুন মুখ মনীষা মন্ডল ( Manisha Mondal ) পর্দায় ডেবিউ করেছেন রাঙামতি রূপে।

রাঙামতি তিরন্দাজ আজকের পর্ব ৩০শে সেপ্টেম্বর (Rangamoti Tirandaj Today Episode 30th September)

এদিনে পর্বের শুরুতে দেখা যায়, রাঙামতির নিখুঁত তিরন্দাজি। সে গাছ থেকে কামরাঙা ফল পেড়ে ভগবানকে উৎসর্গ করছে। আজ তার মন ভাল নেই। কারণ তার প্ৰিয় গ্রামের দিদিমণি আজই রিটায়ার করে কলকাতায় ফিরবেন। তারপরই হয় পটবদল। শেষদিনও স্কুলের বাচ্চাদের তীরন্দাজি ও কবাডির মহড়া দিয়ে চলেছে রাঙামতির প্ৰিয় দিদিমণি।

New Serial, Bengali Serial, Rangamati Tirandaz, Star Jalsha, স্টার জলসা, রাঙামতি তিরন্দাজ, বাংলা সিরিয়াল

গ্রামের স্কুলের দিদিমণির ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ। সম্ভবত, তিনিই রাঙামতির শাশুড়িমা। গ্রামের লোকেদের দুঃখে বরাবর ঝাঁপিয়ে পড়ে এই দিদিমণি। তার ঢাল তার স্বামী। জীবনে প্রতিটা মোড়ে স্বামীকে পাশে পেয়েছেন তিনি। এদিনও তার অন্যথা হল না। স্কুল থেকে ফেরার সময় বুধয়ন এসে তাকে খবর দেয়, গ্রামে জঙ্গলের হাতি ঢুকে পড়েছে।

তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় দিদিমণি। বুধয়নকে দিয়ে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করায়। যথাসময়ে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের লোক এলেও, তাদের বন্দুক থেকে ঘুমপাড়ানি গুলি বেরোয় না। এদিকে, গ্রামবাসী সমূহ সংকটে। শেষ মুহূর্তে রাঙামতি তার তিরন্দাজির খেলা দেখিয়ে হাতিকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়ায়।

আরও পড়ুনঃ টান টান সাসপেন্সে ভরপুর পয়লা পর্ব! বাবা-মা থাকা সত্ত্বেও জন্মের পর কীভাবে আলাদা হল যমজ দুই বোন? র‌ইল প্রথম পর্বের আগাম আপডেট

ধারাবাহিকের আসন্ন পর্বে দেখা যাবে, বিদায়বেলা গ্রামের তিরন্দাজিতে পারদর্শী রাঙামতিকে একটি তীরধনুক উপহার দিয়ে যাবে এই দিদিমণি। আর এই তিরধনুক আনবে দিদিমণির ছোটোছেলে। বিদেশে থাকে সে। সম্ভবত ইন্ডিয়ান আর্মিতে রয়েছে। ইনিই নায়ক। পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে আলাদা। দিদিমণির দৃঢ় বিশ্বাস একদিন রাঙামতি দেশের সেরা তিরন্দাজ হবে। সকলের সামনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, সে যেন হাল না ছাড়ে। এক মুহূর্তে সব ঠিক আছে মনে হলেও পরমুহূর্তে রাঙামতির মনে প্রশ্ন আসে সে গরিব পরিবারের মেয়ে। অর্থের অভাব উপেক্ষা করে সে কি আদৌ পারবে নিজের স্বপ্নপূরণ করতে?