টলিউডের (Tollywood) জনপ্রিয় মুখ নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত (Nilanjana Sengupta)। গত কয়েকদিন ধরে চর্চার আলোকে যীশু-নীলাঞ্জনার সম্পর্ক (Jissu Sengupta-Nilanjana Sengupta)। দীর্ঘ দাম্পত্যে ভাঙনের খবর যখন কিছুটা সীমিত হল, ঠিক তখনই নতুন ঘোষণা করলেন নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। এবার নিজের নতুন প্রোডাকশন হাউস খুলছেন তিনি। নাম দিলেন দুই মেয়ের মা পরিচয়ে।
নতুন অধ্যায় শুরু করলেন নীলাঞ্জনা!
স্টার জলসার ‘হর গৌরী পাইস হোটেলের’ দুর্দান্ত সাফল্য। যার হাত ধরে প্রযোজনার বিশেষ সম্মান পেলেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে স্টেজে উঠলেন তিনি। দুই পাশে দুই মেয়ের উপস্থিতিতে তিনি গ্রহণ করলেন সন্মান। পুরস্কার মঞ্চ থেকেই তিনি ঘোষণা করলেন, নতুন প্রোডাকশন হাউসের জার্নি শুরু করছেন তিনি। যার নাম ‘চিনি নিনিস মাম্মাস প্রোডাকশন’। নিজের প্রযোজনা সংস্থায় দুই মেয়ের নাম খোদাই করলেন নীলাঞ্জনা।
“জীবনে প্রায়োরিটি বদলাতে থাকে”: নীলাঞ্জনা
ছয় বছর আগে তিনি কাজ ছেড়েছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আফসোস নেই তাঁর। তিনি স্পষ্ট বললেন, মানুষের জীবনে প্রায়োরিটি বদল হয়। সেই সময় নির্দিষ্ট কিছু কারণেই কাছ থেকে দূরত্বে গিয়েছিলেন। এখন আবার সময় হয়েছে ফিরেছেন কাজে। যদিও তিনি মনে করেন, মুখে হাসি রেখে জীবন যুদ্ধ জয় করে নেওয়া সম্ভব। তিনি বেশ ভালো আছেন, হাসিমুখে জানালেন নীলাঞ্জনা।
এখন তাঁর দুই মেয়ে তাঁর বিশ্ব। চার -হাতে তাঁরা আগলে রেখেছে মাকে। নীলাঞ্জনা বললেন, তাঁর প্রথম পরিচয় তিনি মা। এটাই তাঁর শ্রেষ্ঠ উপলব্ধি। মেয়েদের যেমন প্রচন্ড ভালোবাসেন তিনি। ঠিক তেমন ভাবেই শাসন করেন, ডিসিপ্লিনে রাখেন। মেয়েরা নীলাঞ্জনা কে শেখায়, কিভাবে সেল্ফ লাভ করতে হবে। কিভাবে নিজেকে ভালো রাখতে হবে। আর মেয়েদের কাছ থেকে মাঝেমধ্যে বকুনিও খান নীলাঞ্জনা। হাসিমুখে স্বীকার করলেন ক্যামেরার সামনে।
প্রসঙ্গত, যীশু-নীলাঞ্জনা সম্পর্ক নিয়ে চর্চা জারি রয়েছে। তৃতীয় ব্যক্তির আগমনের কারণে সম্পর্কে নাকি ভাঙন ধরেছে তাঁদের। তবে মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে এই কঠিন যুদ্ধে তাকে সমর্থন করেছেন
যীশুর বড় মেয়ে। বাবাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আন ফলো করেছেন তিনি। আভাসে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি সর্বদা মায়ের পাশে। মেয়েদের নিজের শক্তি বলেছেন নীলাঞ্জনাও। এখন তাঁদের হাত ধরে শুরু হলো তাঁর নতুন জার্নি।
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!