বাংলা আধুনিক সঙ্গীতের পথ প্রদর্শক তিনি। জীবনমুখী গানের জন্য এই গায়কের জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। এই গায়কের গান আজও নস্ট্যালজিক করে তোলে বাঙালিকে। তবে শুধুমাত্র জীবনমুখী গানই নয়, গজলেও তার দারুন দক্ষতা। ৩০ বছর ধরে নিজের গানের গলায় তিনি মাতিয়ে রেখেছেন বাঙালিকে। তিনি বাংলার জনপ্রিয় গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী (Nachiketa Chakraborty) ।
গায়কের বৃদ্ধাশ্রম শুনে চোখ ভিজেছে কত শত মানুষের। নচিকেতার গান শুনে লাল ফিতে সাদা মোজার নীলাঞ্জনারা অনুভব করেছে তাদের প্রথম ভাললাগার অনুভূতি। তার গান যেন আগুনের স্ফুলিঙ্গ। এমনকি ব্যক্তি মানুষটার মধ্যেও ঝলকে ওঠে সেই আত্মবিশ্বাস। আর তাইতো তিনি বলেন নচিকেতা তৈরি হয় না। নচিকেতা জন্মায়। আগামী ৫০ বছরে আর কোন নচিকেতার জন্ম হবেনা না বলেও দাবি করেন তিনি অকপটে।
তুমি বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল এই জনপ্রিয় গায়ক নাকি গুরুতরভাবে অসুস্থ। বেশ কয়েকমাস আগে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে হঠাৎ শরীর খারাপ হয় গায়কের। বাতিল হয়ে যায় অনুষ্ঠান। আর তারপর থেকেই গায়ককে ঘিরে নানা গুজব শোনা যায় চারপাশে। তিনি নাকি ক্যান্সার আক্রান্ত এমনটাও শোনা যায়।
সত্যিই কী মারণ রোগে আক্রান্ত নব্বই দশকের প্রেমিকদের আইকন? ক্যান্সার রোগ কি তার কন্ঠে প্রভাব ফেলেছে? একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের রীতিমতো বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন নচিকেতা। বললেন, দাপিয়ে শো করে বেড়াচ্ছি। আর এর মধ্যে কারা রটাচ্ছে আমার নাকি ক্যান্সার হয়েছে। কোন কিছু হয়নি আমার। বলে বলে অসুস্থ করে দেবেন না।
তবে নচিকেতাকে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। একটা সময় জ্বালামুখী গায়ক হিসেবে পরিচিতি ছিল তার। অর্থাৎ যেকোনও সামাজিক ইস্যু নিয়েই গান বাঁধতেন তিনি। তার প্রতিবাদী সুরের ঝংকারে উত্তাল হতো বাংলা। জোর গলায় তিনিই গান ধরেছিলেন, ‘মন্ত্রীরা সব … আস্ত বদের ধারি।’ তবে আজ শাসক দলে নাম লেখানোর পর থেকে তার গলার সেই তেজ কমেছে। তিনি নাকি ধান্দাবাজ এমনটাই বলে থাকেন বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা। যদিও নচিকেতা বলেন, আমাকে ডি-গ্ল্যামারাইজ কতগুলো পাঁঠা করতে পারবে না। আমি বাংলা ভাষার উপর যে দাগটা রেখে গিয়েছি আমার সম্পর্কে দু-পাঁচটা বাজে কথা বলে তারা আমাকে ম্লান করতে পারবে না।