রূপাকে সুস্থ করতে আকুতি সোনার! দুই বোনের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, টান দেখে চোখে জল দর্শকদের!

মিশকার চক্রান্তে এলোমেলো সেনগুপ্ত পরিবার। সূর্য-দীপার জীবন সঙ্গে সোনা-রূপার জীবনও তছনছ করেছে মিশকা সেন। মা, বাবাকে একসঙ্গে না পেয়ে বড় হয়েছে সূর্য-দীপার সন্তান। একটা সুখী পরিবার গড়ে ওঠার আগেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে দিয়েছে মিশকা। এখানেই সে শান্ত হয়নি। ছোট্ট রূপাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেও চেয়েছিল সে। গুরুতর অ্যাক্সিডেন্টের মুখ থেকে প্রাণ ফিরে পেলেও কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত রূপা।

দীপা চেয়েছিল সিঙ্গল মাদার হয়েই তাঁর দুই সন্তান কে মানুষ করবে। কিন্তু সোনা ও রুপা দুজনেই মনে মনে চেয়েছে তাঁদের মা ও বাবাকে একসঙ্গে। সূর্যের প্রতি মিশকার আকর্ষণ ও দীপার প্রতি রাগের ফল ভুগতে হয়েছে রূপাকে। দীপার কাছে সোনা প্রতিজ্ঞা করেছে সে তাঁর বোন রূপাকে ভালো করে তুলবেই।

একদিকে যখন সূর্য-দীপার জীবন অতল জলে ভাসছে, চলছে আইনি লড়াই, তখন বোন রূপাকে সুস্থ করে তুলতে সোনার আপ্রাণ চেষ্টা দেখে চোখে জল আসছে দর্শকদের। ধারাবাহিকের পর্বে দেখা যাচ্ছে, সোনা তাঁর বোনকে গল্প বলে খায়িয়ে দিচ্ছে।কিন্তু সোনা আনমনে হারিয়ে গিয়েছে পুরনো দিন গুলিতে। তাঁর মনে পড়ছে সূর্য কিভাবে তাঁকে গল্প করে খাইয়ে দিত, তাঁকে ভালোবাসতো।

রূপা আনমনেই তাঁর বাবার নাম ধরে ডাকতে থাকে আর তখন সেখানে উপস্থিত হয় দীপা। দীপা বুঝতে পারে সূর্যকে ছাড়া রূপাকে ভালো করে তোলা সম্ভব নয়, রূপাকে সুস্থ করে তুলতে তাই মা ও বাবা দুজনকেই এক হতে হবে। এখন দর্শক মহলের প্রশ্ন, তবে কি এবার রূপাকে সুস্থ করে তুলতে এক হবে সূর্য দীপা?

আরো পড়ুন: দুঃসংবাদ! বছরের শুরুতেই সবথেকে কাছের মানুষকে হারিয়ে শোকে পাথর সুদীপা

এদিকে, রূপাকে মেরে ফেলার অপরাধে দশ বছরের হাজতবাসের শাস্তি পেয়েছে মিশকা সেন। কারাগারের অন্ধকারে বসেও তাঁর মনে পড়ছে সূর্যকে। তাঁর মনে হচ্ছে, সূর্য তাঁর পাশে এসে বসছে, কথা বলছে। আশেপাশে দীপা নেই অন্য কেউ নেই। অন্যদিকে সেনগুপ্ত বাড়িতে বড় হয়ে উঠছে সূর্য ও মিশকার সন্তান।