একদিকে সোহিনী অন্যদিকে দেবলীনা!দুই নায়িকার সঙ্গে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম?জানে না কিন্তু কেউই,এবার জানা গেল ঋষভ বসুর আসল সত্যি

ইন্ডাস্ট্রিতে রটে গেছে খুব ব্যস্ত সিরিজের ‘শ্রীকান্ত’ ঋষভ বসু। নামের পাশে এক বড় প্রযোজনা সংস্থার “জামাই”য়ের তকমা। এদিকে তিনি নিজে তা স্বীকার করতে চান না। কাজ থেকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলাখুলি আলোচনায় অভিনেতা ঋষভ বসু।

ঋষভ জানালেন এখন তিনি তথাগত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘গোপনে মদ ছাড়ান’ নিয়ে ব্যস্ত। তারই মহড়া চলছে পুরোদমে। এটি ওয়ান শট সিনেমা। তাই দ্রুত শুট শেষ করতে হবে। শ্রীকান্ত’ বা ‘মহাভারত মার্ডারস’ গত বছরের শেষে শ্যুট করা শেষ হয়েছে। পাশাপাশি একটি বেশ আশ্চর্যের বিষয় তুলে ধরলেন। তাঁকে নাকি শুনতে হয় তিনি ‘হইচই-এর জামাই’! সেটা কার? শ্রীকান্ত মোহতা, মহেন্দ্র সোনি না বিষ্ণু মোহতার?

এই নিয়ে একটা মজার ঘটনা বললেন।’শ্রীকান্ত’ সিরিজের লুক সেটে গেলেন। শ্রীকান্ত মোহতা সদ্য কলকাতায় এসছেন। শ্যুটের অবসরে সিরিজের কার্যনির্বাহ প্রযোজককে নিয়ে কথা বলছেন ঋষভ।যখন ফিরছেন তখন নীচে নিরাপত্তা রক্ষীর প্রশ্ন, ‘‘কোথায় যাবেন?’’ তিনি বলেন ‘শ্রীকান্ত’র লুক সেটে যাচ্ছি। শুনেই পাল্টা জবাব, ‘‘স্যর অর্থাৎ শ্রীকান্ত মোহতা এখনও অফিসে আসেননি।’’ বুঝিয়ে বলার পরে তিনি ছেড়ে দেন।

কাজ শেষে আবার বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে দেখিয়ে আর এক নিরাপত্তা রক্ষীকে আগের নিরাপত্তা রক্ষী বলছেন, ‘‘জানিস, শ্রীকান্ত মোহতার জীবনী ছবি হচ্ছে! ইনি শ্রীকান্ত স্যরের ভূমিকায় অভিনয় করছেন!’’ যাঁদের নাম বললেন তাঁদের কারওর জামাই নন ঋষভ। তাঁর হওয়ার ইচ্ছেও নাকি নেই।

কিন্তু জামাই না হয়েই দু’পাশে দুই প্রেমিকা, সোহিনী সরকার, দেবলীনা দত্তকে পেয়ে গেলেন? উত্তরে ঋষভ জানান দুজনেই দারুন সুন্দরী। সোহিনীর সঙ্গে তাঁর যা কথা সেটা বিড়াল নিয়ে হতো। আর দেবলীনাকে নিজের দিদি মনে করেন তিনি। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে জোর চর্চা সোহিনীর সঙ্গে রণজয় বিষ্ণুর প্রেম ভেঙে গেল তাঁর কারণেই। রনজয়কে ঋষভ আগে থেকে চেনেন।

শ্রীকান্ত’ করতে এসে সোহিনী বলল, আর দয়া করে ‘দিদি’ ডাকিস না। আর এই প্রেম ভাঙার বিষয়টা তিনি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। পর্দায় তাঁদের কেমিস্ট্রি এতটাই জোরালো এটা তাঁর কাছে ভালো খবর।

তবে আসল প্রেম কবে করছেন? ঋষভ জানান আর না। ৬ বছর প্রেমের পর আচমকা ভেঙে গেল। তখন নায়ক মঞ্চাভিনেতা। কষ্ট পেয়ে তিনি ঠিক করলেন আর প্রেমে নেই। বিয়েও নয়। আবার পল্লবীর মত আত্মহত্যার ইচ্ছে হয়েছিল তাঁর। একটি প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থার ছবিতে নায়ক হওয়ার ডাক পেয়ে বহু বড় কাজ ছেড়ে দেন। তিন মাস পরিশ্রমের পর তাঁরা বাদ দেন। আর দ্বিতীয়বার এই ভাবনা আসে অতিমারির সময়। ‘ভটভটি’ মুক্তি নিয়েও ছিল অনিশ্চয়তা।