বিয়ে পাগলা গুড্ডি! অঙ্কুশের মা গুড্ডিকে দিল বিয়ের প্রস্তাব! মেয়ে-জামাই, শ্বশুর-শাশুড়ি সব কিন্তু এক দেখতে! গুলিয়ে ফেলবেন না আবার

বাংলা টেলিভিশনে আজগুবি ধারাবাহিকগুলি বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে। আর সেই সমস্ত গাঁজাখুরি গল্প টিভির সামনে বসে দেখেন এক শ্রেণীর দর্শকরা। কিন্তু বাস্তবধর্মী ধারাবাহিকগুলি অচিরেই বন্ধ হয়ে যায় টিআরপির অভাবে। এই যেমন জলসার পর্দায় বন্ধ হয়ে গেল ধারাবাহিক মেয়েবেলা। কিন্তু অন্যদিকে আবার গাঁজা মিশ্রিত গল্প গুড্ডি সাড়ম্বরে চলছে।

নেটিজেনরা বিভিন্ন সময় এই ধারাবাহিক বন্ধ করতে বললেও চ্যানেল বা প্রযোজনা সংস্থা কর্ণপাত করতে নারাজ‌। ভুলভাল এই গল্প দর্শকদের জোর করে দেখিয়েই ছাড়বেন তিনি। আর সেটাই করে চলেছেন। দ্বিতীয় অধ্যায়ের গল্প শুরু হ‌ওয়ায় ভীষণ খুশি হয়েছিলেন নেটিজেনরা। কিন্তু তারপর আবার‌ও গল্পের পিন্ডি চটকে দেন তিনি নিজেই।

এই ধারাবাহিকে এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে যে, জীবনের শেষ বয়সে এসে গুড্ডি সম্পূর্ণ রূপে অনুজের মতো দেখতে অঙ্কুশ ভাটিয়ার প্রেমে পড়েছে। সে এটাও জানে যে অঙ্কুশ অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে অঙ্কুশকে ছেড়ে দিতে নারাজ। বরং অঙ্কুশকে নির্দোষ প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর সে।

গুড্ডি আদালতে প্রমাণ করে দেয় যে অঙ্কুশ নিজের জীবনে যা অপরাধ করেছে তা তার পরিবারকে প্রতিপালন করবার জন্য তা প্রমাণ করবার জন্য অঙ্কুশ ভাটিয়ার মাকে আদালতে হাজির করেছে সে।

তাকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনে তাকে নিজের জীবনের সাথে জুড়বে সে আর অঙ্কুশকে সুস্থ জীবন উপহার দেওয়ার জন্য দিন রাত এক করে খাটে গুড্ডি। এমনকি অঙ্কুশ নিজের জীবনে যা কিছু অপরাধ করেছে তা তার পরিবারকে প্রতিপালন করবার জন্য তা প্রমাণ করতে অঙ্কুশ ভাটিয়ার মাকে পর্যন্ত আদালতে হাজির করে সে।

 

যথারীতি এই কর্মকাণ্ডে সাফল্য পায় সে। অঙ্কুশের মা নিজের বড় ছেলেকে বাঁচানোর জন্য গুড্ডির কাছে নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এমনকী অঙ্কুশের জন্য গুড্ডিকে বিয়ের প্রস্তাব‌ও দিয়ে দেয়। এমনিতে আগেই অনুজের মতো দেখতে হ‌ওয়ার জন্য ঝপাং করে অঙ্কুশের প্রেমে পড়ে গেছে ছেলেধরা গুড্ডি। ভালোবাসা পেয়ে ক্রিমিনাল অঙ্কুশেরও গুড্ডিকে ছাড়তে মন চাইছিল না। আর এবার মা’তো দিয়েই দিল বিয়ের প্রস্তাব। ব্যাস ড্যাং ড্যাং করে হতে চলেছে গুড্ডি-অঙ্কুশের বিয়ে। মিস করবেন না কিন্তু!