কলকাতার পুজোর মরশুম মানেই সিনেমার নতুন গল্প, দর্শকের আগ্রহ এবং চরম উত্তেজনা। এই সময়ে মুক্তি পায় টলিউডের বড় বড় ছবি, আর প্রতিটি ছবির সফলতা বা সমালোচনা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। এই বছরের পুজোতেও আবির চট্টোপাধ্যায়ের দুটি ছবি—‘যত কাণ্ড কলকাতাতে’ এবং ‘রক্তবীজ ২’—সবার নজর কেড়েছে। যদিও দুই ছবির রিলিজ একই সময়ে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দর্শক এবং সিনেমা প্রেমীদের মধ্যে নানা চর্চা তৈরি হয়েছে।
আবির চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ করেছেন, তিনি দর্শকের মতামতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, “দর্শকই শির্ধার্য দেবেন, আমাদের মতামত তার সঙ্গে মিলতে নাও পারে।” প্রচারের সময় সরাসরি উপস্থিত না থাকতে পারার জন্য আবির কিছুটা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, টেকনিক্যাল কারণে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সবসময় সম্ভব হয়নি। তবে ছবির কন্টেন্ট এবং দর্শকের প্রতিক্রিয়াই চূড়ান্ত।
ছবির রিলিজের চাপ এবং উত্তেজনা সম্পর্কে আবির বলেছেন, “পুজোর সময় সিনেমার রিলিজ এবং দর্শক প্রতিক্রিয়ার চাপ অনেক বেশি। রিলিজের সময় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে, কিন্তু এটি দীর্ঘস্থায়ী শত্রুতির কারণ নয়।” তিনি মনে করেন, ইন্ডাস্ট্রির ছবিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকা স্বাভাবিক এবং তা উভয় পক্ষেরই উপকারে আসে। তিনি আরও বলেছেন, “যে ঘটনা ইন্ডাস্ট্রিতে ঘটে, তা সবসময় আমার নিয়ন্ত্রণে নয়, কিন্তু নিজের কাজের জন্য আমি দায়িত্বশীল।”
টলিউডের মধ্যে যারা অযথা উত্তেজনা সৃষ্টি করে, রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে অদ্ভুত কথা বলে ফেলে—তাদের উদ্দেশ্যে আবির বলেছেন, “আমি পলিটিক্যালি কারেক্ট বা ডিপ্লোমেটিক উত্তর দিইনি। আমি যা বলেছি, তা সিভিক ভদ্রতার মধ্যে বলেছি। আমার রাগ বা অসন্তোষ আমি অন্য কাউকে প্রকাশ করি না, শুধু টিমের সঙ্গে মিটিয়ে নিই। আমি চাই ছবির সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনাই হোক।”
আরও পড়ুনঃ “বাবা এখনও আমার কাছে পাহাড় সমান, চাইলেও অনেক কথা বাবাকে বলা হয়ে ওঠেনি… আজও নয়!” “যতই কষ্ট হোক ওই কথাগুলো তাঁকে বলতে পারিনি, তাই চুপ করে গেছি!”— অকপট কোয়েল মল্লিক! কী এমন কথা, আর কেনই বা এখনও বাবা রঞ্জিত মল্লিককে বলে হয়নি কোয়েলের?
শেষে আবির চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন, “ছবির সাফল্য কেবল আমার নয়, বরং দর্শক, টিম ও প্রযোজকদের সমন্বয়ে তৈরি। নেগেটিভ বা পজিটিভ প্রতিক্রিয়া সবই পরবর্তী কাজকে উন্নত করার পথে সাহায্য করে। আমি নিজেকে আউটসাইডার মনে করি, তা সত্বেও সৎভাবে কাজ করার চেষ্টা করি, এবং দর্শকের মতামতই আমার চূড়ান্ত পথপ্রদর্শক।”