Ankush-Mirza: বর্ধমানের গ্রাম থেকে লড়াই করে আজ টলিউডের হিরো, জড়িয়েছেন হাজার বিতর্কে!আজ জিৎ, দেবের পথ ধরে হিরো অঙ্কুশ হাজরা প্রযোজক! ‘মির্জা’র টিজার দেখে স্তম্ভিত নেটিজেনরা‌

নিজেকে বর্ধমানের বিষ মাল হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। বরাবর চঞ্চল, ছটফটে এবং সোজা-সাপটা মানুষ অঙ্কুশ হাজরা। এতদিন বিনোদন দিয়েছেন শুধুমাত্র অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা হিসেবে। একাধিক বড় বড় পরিচালক এবং প্রযোজকের সঙ্গে কাজ করে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একাধিক চরিত্র।

এবার একেবারে অন্যরূপে ধরা দেবেন তিনি। বলা যায় একেবারে অন্য ভূমিকা যেখানে তিনি অন্যতম মূল কান্ডারী। এবার অঙ্কুশ হাজরা অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি হয়ে উঠলেন প্রযোজক। বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে একের পর এক সুপারস্টার অভিনেতারা উঠে আসছেন প্রযোজক হিসেবে। এর উদাহরণ পেয়েছি আমরা দেব এবং জিতের মাধ্যমে। এবার পালা অঙ্কুশের।

প্রথমবার প্রযোজক হিসেবে মুক্তি পেতে চলেছে অঙ্কুশের সিনেমা মির্জা। মুক্তি পেল তার প্রথম ঝলক। আনন্দে গর্বিত প্রেমিকা এবং অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন এবং গোটা পরিবার। কিন্তু প্রযোজক হতে গিয়ে ঠিক কী কী ভাবনা এসেছে তাঁর মাথায়? প্রথম প্রযোজিত ছবির পরিচালনার দায়িত্বে কলকাতার কোনও পরিচালক স্থান পাননি অঙ্কুশের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা জানিয়েছেন সুমিত-শাহিল দু’জনেই ভাল লেখেন এবং সুমিতের স্ত্রী বাঙালি হওয়ায় বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

ওদের পরিচালনা করার স্বপ্ন ছিল বহুদিনের। তাছাড়াও টলিউড থেকে বহু পরিচালক বাইরের সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছেন। দক্ষিণী পরিচালকরা মুম্বইয়ে কাজ করছেন। প্রযোজক অঙ্কুশ হাজরা চাইছেন এই ভেদাভেদ এবার বন্ধ হোক।

কিন্তু হঠাৎ অভিনেতা থেকে কেন প্রযোজক হতে চাইলেন অঙ্কুশ? নিজের মতো করে কিছু করতে চেয়েছিলেন অভিনেতা যেটা তিনি মনে করেন একমাত্র প্রযোজক হলেই করা যায়। মোট কথা নিজের স্বাধীনতা যেখানে খর্ব হয় সেখানে তিনি থাকতে চান না। তবে এটা নয় যে তিনি স্বাধীনতা পাচ্ছিলেন না। কিন্তু কাজ করতে করতে অনেকটা পরিণত হয়েছেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Ankush (@ankush.official)

তবে প্রযোজনার তালিকায় প্রতিযোগী নয় বরং। গুরু হিসেবে রয়েছেন দেব এবং জিৎ। দুজনের থেকে সারাক্ষণ পরামর্শ এবং উপদেশ নিয়ে চলেছেন অঙ্কুশ। ছবি তৈরি থেকে মুক্তি পর্যন্ত সমস্ত রাস্তা বলে দিচ্ছেন দাদারা। উপরন্তু জিৎ তাঁকে বলেই দিয়েছেন ‘ওয়েলকাম টু দ্য গ্যাং’।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Ankush (@ankush.official)

মির্জা সিনেমার প্রচার ঝলক দেখে মনে হল দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে মিল রয়েছে। অভিনেতা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছেন এটা একেবারেই অনুপ্রাণিত নয়, মৌলিক গল্প। তবে প্রযোজক অঙ্কুশ হাজরা বরাবর ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ছবিই তৈরি করতে চেয়েছিলেন।

প্রথম ঝলক সামনে তো এসে গেলো কিন্তু অভিনেত্রী কে? সেখানে কি স্থান পাবেন অভিনেত্রী এবং প্রযোজক অঙ্কুশ হাজরার প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা সেন? কাকে রাখা হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। এই ছবিতে নায়িকার চরিত্রটা যে ভাবে লেখা হয়েছে, তাতে অনেক খুঁজে তবে বাছতে হবে নারী চরিত্রকে, এমনটাই জানিয়েছেন অঙ্কুশ।