সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) মানে বাঙালি জাতির ইমোশন। ফেলুদা-তোপসেকে ভালোবাসেন না এমন বাঙালি বাজারে মেলা দুষ্কর। সম্প্রতি ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (Indraneil Sengupta)। অভিনেতা এমন কিছু বললেন যা মেনে নিতে পারছেন না দর্শকদের একাংশ। সাম্প্রতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইন্দ্রনীল বলেন, ‘সন্দীপ রায়কে (Sandip Ray) যাঁরা আক্রমণ করেন, তাঁরা ওঁর বাড়ির কাজের লোকের চেয়েও ক্লাসলেস…’!
কয়েকদিন আগে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপশনের অনুষ্ঠানের একটি লেখা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যম। ভেন্যুর গেটের বাইরে লেখা ছিল, ‘মিডিয়া, ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ও গাড়ির চালকদের প্রবেশ নিষেধ।’ বক্তব্য দেখে নবদম্পতির উপর চোটেছিলেন নেটিজেনরা। ড্রাইভার বা দেহরক্ষীদের অপমানে সরব হয়েছিল তারকাদের বড় অংশ।
এবার অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের বক্তব্যেও খচে লাল নেটমহল। ট্রোলারদের কটাক্ষ করার জন্য বাড়িতে কাজ করা মানুষদের ‘ক্লাসলেস’ বলা কী ঠিক? অভিনেতার যুক্তি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের বয়ান প্রসঙ্গে ইউটিউবার ঝিলমের বক্তব্য:
ইউটিউবার ঝিলম গুপ্ত রীতিমতো একটি ভিডিয়ো বানিয়েছেন। বিস্ফোরক ঝিলম ইন্দ্রনীল ক্লাস নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত টার্গেট করেছেন সেই সব মানুষদের, যাদের নয়ন রহস্য ভাল লাগেনি। আসলে ওর ভাল লাগেনি চারদিকে যেভাবে সমালোচনা হচ্ছে সেটা। ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে আমার মনে কিছু নেই। আমি ওর খুব একটা ছবি দেখেছি সেটাও নয়। আমি নয়ন রহস্যও দেখিনি। আর এখন তো দেখার ইচ্ছেও নেই। এই যে উনি বললেন সন্দীপ রায়ের বাড়িতে যারা কাজ করেন, তাঁদের থেকেও বেশি ক্লাসলেস তাঁকে যারা আক্রমণ করেন। সন্দীপ রায়কে কেউ আক্রমণ করেনি। তাঁর বানানো ছবিটা ভাল লাগেনি তাই বলছে। এই সন্দীপ রায়কেই যদি অবাঙালি কেউ সমালোচনা করে, এই বাঙালিরাই রুখে দাঁড়াবে।’
আরও পড়ুন: দুঃসংবাদ! চিরকালের মতো আলাদাই হচ্ছে রানী-দুর্জয় পরিবর্তন হচ্ছে না তোমাদের রানীর কাহিনী! আশাহত হবেন দ
জনপ্রিয় ইউটিউবার আরও বলেন, ‘’যাদের ভাল লাগেনি, তাঁরা নিজের মন্তব্য জানিয়েছেন। এই যেমন আপনার তাঁদের মতামত ভাল লাগেনি, আপনি ক্লাসলেস বলছেন। দুটো বিষয় একরকম। মনে রাখবেন, এই ক্লাসলেস জনতাই কিন্তু সন্দীপ রায়ের নিশিযাপন সিনেমাটাকে কখনও খারাপ বলেনি। আপনি তাঁদের টার্গেট করেছেন যারা নয়ন রহস্যকে খারাপ বলেছে। আর সেটা করতে গিয়েই টার্গেট করলেন যারা সন্দীপ রায়ের বাড়িতে বাসন মাজে বা রান্না করে। যারা কায়িক পরিশ্রম করলেন, তাঁদের ক্লাসলেস বললেন আপনি।’