তারাদের দেশে পাড়ি দিলেন অভিনেতা পার্থসারথি দেব (Parthasarathi Deb)। বিগত প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেতা। দিনকয়েক আগে তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। শুক্রবার রাত ১১.৫০ নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ।
টেলিভিশনের পরিচিত মুখ পার্থসারথি দেব। দীর্ঘদিন বাংলার ‘আর্টিস্ট ফোরাম’- এর সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। তাছাড়া টলিউডে শিল্পীদের সংগঠনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বর্ষীয়ান অভিনেতার। আর্টিস্টস ফোরামের তরফ থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার ২৩ মার্চ, দুপুর ১২টায় টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে তাঁকে অন্তিম শ্রদ্ধা জানানো হবে।
দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা পার্থসারথি দেব। ফুসফুসে সংক্রমণ জেরে গত এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি যথেষ্ট সংকটজনক বলে অনেক আগেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। গত এক সপ্তাহ তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সহকর্মী, অভিনেতা বাপি দাস নিয়মিত তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে দেখভাল করছিলেন।
প্রায় চার দশক ধরে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিনেতা পার্থসারথি। থিয়েটার-নাটক থেকে অভিনয়ের দুনিয়ায় হাতেখড়ি। ছোট পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি, নাটকের মঞ্চের প্রতি ভালবাসা কোনোদিন হারাননি। বড় পর্দাতেও চুটিয়ে কাজ করেছেন অভিনেতা। শেষ তাঁকে বড় পর্দায় দেখা যায় নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘রক্তবীজ’ সিনেমায়।
আরও পড়ুন: “ন্যাকামিতে অস্কার পাবে, হাঁপানি রোগীর মতো অভিনয় করে!” অভিনয়ের জেরে কটাক্ষের মুখে নীলু দেবাদৃতা বসু!
প্রসঙ্গত, পার্থবাবুর সিওপিডিজনিত সমস্যার কারণে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। ফুসফুসের সংক্রমণ এই পর্যায়ে পৌঁছে যে জ্ঞান থাকলেও, কারোর সঙ্গে কথা বলতে পারতেন না অভিনেতা। তবে চিনতে পারছিলেন সবাইকেই। হাসপাতালের তরফে জানানো হয় অভিনেতার সুস্থ হতে সময় লাগবে। তবে শনিবার সকলকে কাঁদিয়ে শেষ হয়েছে লড়াই।