Sanghasri Sinha Mitra: ১১ বছর বিষাক্ত সম্পর্কের জ্বালায় জ্বলেছেন, প্রেমিকের হাতে খেয়েছেন মার! নন্দিনীর দজ্জাল কাকিমার গল্প জানলে কেঁদে ফেলবেন
বাংলা টেলিভিশন জগতসহ বাংলা চলচ্চিত্র জগতে অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী সিনহা মিত্রের নাম পরিচিত। এক সময় “লে ছক্কা” “ক্রস কানেকশন” প্রভৃতি জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে তাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বাংলা টেলিভিশন জগতে। “কি করে বলবো তোমায়” “ফেলনা” “নবাব নন্দিনী” ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন সঙ্ঘশ্রী।
সঙ্ঘশ্রীর বাড়ি মালদায়। আশুতোষ কলেজে পড়াশোনার জন্যই কলকাতায় আসেন তিনি। ছোট থেকেই তার ইচ্ছা ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। অতিরিক্ত ওজনের জন্য অনেক সময় বডি শামিং এর শিকার হতে হয়েছে তাকে। ‘চেহারাটা দেখেছিস! ও নাকি অভিনেত্রী হতে চায়’। আজও বেচে কাজ করতে পারেন না তিনি যে অভিনয় আসে সেই চরিত্রই অভিনয় করেন ।
নিজের পেশাগত জীবন ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এদিন সঙ্ঘশ্রী অনেক কথা বলেন। ২০১৭ সালে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু তার আগে ১১ বছরের একটি টোক্সিক সম্পর্কেও ছিলেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী কোথায় ‘যে তোমাকে একদিন অপদস্ত করছে, সে তোমাকে রোজ অপদস্ত করবে। যে একদিন গায়ে হাত তুলছে, সে রোজ হাত তুলবে। আমরা ভাবি ভুল করে ফেলেছে কিন্তু সেটা ভুল করে হয় না। ওটা স্বভাব, আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমার ভুল, আমি ১১ বছর এই বিষাক্ত সম্পর্কটায় ছিলাম। এরপর অনেক কষ্টের সেটা থেকে বের হয়েছি।’
View this post on Instagram
সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পর মায়ের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। এখন তিনি সুখে সংসার করছেন। অভিনেত্রী হওয়ার লড়াইয়ে সব সময় পাশে পেয়েছেন নিজের স্বামীকে। এজন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন তিনি। ৩০ বছর বয়সে অভিনয় জীবন শুরু করতে খানিকটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ‘ বোমান ইরানি ৪২ এ অভিনেতা হয়েছিলেন, তুমিও পারবে।’
চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার দিনই প্রথম সিরিয়াল প্রেমের কাহিনীতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই শুরু তবে অভিনেতা হওয়াটা সহজ, নয় অনেক কষ্ট করতে হয়।
View this post on Instagram
বডি শেমিং নিয়ে সঙ্ঘশ্রী জানান, ‘কতবার আমাকে রিজেক্ট করবে? বডি টাইপের জন্য কতবার রিজেক্ট করবে? একজন তো কাজ দেবেই, যদি না পাই তাহলে অন্য সুযোগ খুঁজবো। কারণ জীবনের অপর নাম সুযোগ খোঁজা। তোমার স্বপ্ন সবকিছু ফুড়ে বেরিয়ে যাবে।’
চেষ্টা থাকলে এবং পরিশ্রম করে গেলে নিজের জায়গা ঠিক তৈরি করা যায় এমনটাই বিশ্বাস করেন সঙ্ঘশ্রী।