বিয়ে ভাঙলেও বন্ধুত্ব থেকে যায়, অভিযোগের তীরকে দূরে সরিয়ে বিবাহবার্ষিকীতে প্রাক্তন স্ত্রী নবমিতাকে শুভেচ্ছা ভাস্বরের

বিনোদন দুনিয়ায় সম্পর্ক ভাঙাগড়ার সমীকরণ তো চলতেই থাকে। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক সম্পর্কে ছেদ।, বিবাহবিচ্ছেদ দেখেছে টলিপাড়া। যার সঙ্গে একসময় সুখের নীড় গড়ার স্বপ্ন দেখা, বিচ্ছেদের পর তাঁর দিকেই তোলা হয়েছে অভিযোগের আঙুল। তবে সম্পর্ক ভাঙলেও যে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখা যায়, তেমনই বার্তা দিলেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।

তাঁর নিজেরও বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে কিছু বছর আগেই। মহানায়ক উত্তম কুমারের নাতনি নবমিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ২০১৪ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। দাম্পত্যের সম্পর্ক ভাঙলেও বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিন্তু জিইয়ে রেখেছেন ভাস্বর ও নবমিতা। তাই তো বিবাহবার্ষিকীর দিন প্রাক্তন স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেন না অভিনেতা।

গতকাল, বৃহস্পতিবার ছিল ভাস্বর ও নবমিতার বিবাহবার্ষিকী। অনেকেরই মত, বিয়েটাই যখন নেই তাহলে আর বিবাহবার্ষিকী কীসের? কিন্তু এখানেই ভাস্বর সকলের থেকে আলাদা। এদিন সকালে ফেসবুকে তাঁর ও নবমিতার একটি ছবি পোস্ট করে তাঁকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানালেন ভাস্বর।

ছবি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, “একে অপরকে বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে সকালটা শুরু হল। এটা আমাদের অষ্টম বছর হতে পারত, কিন্তু ঈশ্বরের অন‍্য কোনো ইচ্ছা ছিল। যাই হোক, ভাল থেকো সুস্থ থেকো”।

কোনও সম্পর্ক বা দাম্পত্যে বিচ্ছেদ হলে একে অপরের দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দেন যুগলরা। কিন্তু ভাস্বরের কথায়, বিচ্ছেদ মানেই সবকিছুর শেষ নয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান যে বিচ্ছেদ মানেই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি নয়, অভিযোগের তীর ছোঁড়া নয়। বিয়ে ভাঙলেও যে বন্ধুত্ব রাখা যায়, সেই বার্তাই সকলকে দেন ভাস্বর।

ভাস্বর ও নবমিতার বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও উত্তমকুমারের পরিবারের সঙ্গে এখনও ভালো সম্পর্ক রয়েছে ভাস্বরের। নানান অনুষ্ঠানে এখনও সে বাড়িতে আমন্ত্রণ পান প্রাক্তন জামাই। নবমিতার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ, বন্ধুত্ব রয়েছে তাঁর।