টলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক এবং অভিনেতা ‘অনির্বাণ ভট্টাচার্য’ (Anirban Bhattacharya) একবার ফের খবরের শিরোনামে! তবে সিনেমার জন্য নয়, ভাইরাল হওয়া এক কনসার্টের গানের জন্যই তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ‘হুলি-গান-ইজম’ (Hooliganism) নামের তাঁর সংগীতদল কিছুদিন আগেই ‘মেলার গান’ গানটি দিয়ে ঝড় তুলেছিল। আর এবার তাঁদের গাওয়া নতুন প্যারোডি গান এই মুহূর্তে ভাইরাল। এদিন অনির্বাণ আর দেবরাজের গলায় শোনা গেল একাধিক রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে খোঁচা-ঠাট্টা, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক নেতাদের নাম টেনে একের পর এক ব্যঙ্গাত্মক লাইন গাইছেন অনির্বাণ। গানের মধ্যে উঠে এসেছে দিলীপ ঘোষ, কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে শতরূপ ঘোষের নামও। কখনও কটাক্ষ রাজনৈতিক দল পালটানোর সংস্কৃতিকে, কখনও আবার মন্তব্য গয়নার দোকান কিংবা গোরুর দুধে সোনা নিয়ে। রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে ভরা এই গান শুনে অনেকেই কটাক্ষ করছেন তাঁর ভাষা নিয়ে, আবার অনেকে গায়ক অনির্বাণের সাহসের প্রশংসা করছেন।
অভিনয়ের জগত থেকে আপাতত খানিকটা দূরে সরে গিয়েছেন তিনি। ফেডারেশনের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের জেরে কাজের সুযোগ কমে এসেছে বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। টলিউডের অনেকেই যখন আরজিকর কাণ্ডের সময় পথে নেমেছিলেন, তখন তিনি ছিলেন নীরব। পরে এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, প্রতিবাদ সব সময় রাস্তায় নেমে হয় না, শিল্পের মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাওয়াই তাঁর মতে আসল। সেই সময় তিনি আরও বলেছিলেন, তাঁর সামনে দুই পথ খোলা—একটা হলে রাজনীতির দল তৈরি করা, আরেকটা হলে গানের দল।
তিনি দ্বিতীয় পথকেই বেছে নিয়েছেন। অভিনয় ও পরিচালনার বাইরে গিয়ে এখন সংগীতের মাধ্যমে নিজের ভাবনা তুলে ধরছেন তিনি। তবে প্রশংসার থেকে নিন্দার ঝড় উঠছে বেশি। সমাজ মাধ্যমে একজন বলেছেন, “কারোর নাম না নিয়েও সত্যিকারের প্রতিবাদী শিল্প সৃষ্ট হয়। উদাহরণ, নচিকেতা। বাম কংগ্রেস, টিএমসি সাম্প্রতিক সব ঘটনাতেই এই প্রতিবাদী কণ্ঠ গলা ছাড়ে, কিন্তু কারোর নাম না নিয়েই। সস্তার রাজনীতি করতে গেলেই কারোর নাম ধরে কুৎসা করতে হয়। ওটা অনেক সহজ, নির্বোধদের ভালো লাগতেই পারে এইসব।”
আরও পড়ুনঃ “ছেড়ে যেতে ব্যথা তো লাগছেই, অভিনয় না করলেও অনুরাগের ছোঁয়া আমারই!”— বিদায়ের মুহূর্তে ভেঙে পড়লেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ‘সূর্য’ ওরফে দিব্যজ্যোতি! এই নতুন পর্বে আপনারা কতটা মিস করবেন অভিনেতাকে?
অন্যজনের কথায়, “একটু শিক্ষায় দুর্নীতি, দেদার চাকরি চুরি এগুলোও বিষয়বস্তু হোক নাকি এগুলো বললে পেট চলবেনা? গানের মঞ্চটাও রাজনীতির মঞ্চ হয়ে গেলো ছিঃ! এসব মিরাক্কেল এ দেখেছি অন্য ভাবে, আর.জি.কর নিয়ে কিছু বলতে পারলে বুঝতাম দম আছে | এসব সুড়সুড়ি দিয়ে কি হবে ?” “ইনি এখনো বলতে পারেন? অভয়ার ইস্যুতে কিছু বলতে চান কিনা জানতে চাইলে এককথায় “না” বলেছিলেন। এখনও ইনি শোষিত বঞ্চিত নিপীড়িত পদদলিতদের ভগবান হয়েই আছেন? বেছে বেছে প্রতিবাদী উনি! একটু তলিয়ে দেখলে বোঝা যায় সেটা।”