একটা সময় বাংলা ইন্ডাস্ট্রির তিন কিংবদন্তি নায়ক। তাদেরকে ঘিরেই চলতো বাংলা ইন্ডাস্ট্রির রমরমা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এবং তাপস পাল। তারা যেমন অভিনেতা হিসাবে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ঠিক সেই ভাবেই ছিলেন ভালো বন্ধু। তিনজনের মধ্যে এখন আর একজন নেই। ২০২০ সালে পরলোক গমন করেন অভিনেতা তাপস পাল।
গত ২৯ এ সেপ্টেম্বর ছিল তার ৬৪ তম জন্মদিন সেই দিন ই এই শিল্পীর অকাল প্রয়াণের কথা মনে করে বেশ কিছু কথা বলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তাপস পাল যেমন একজন পরিচিত অভিনেতা ছিলেন ঠিক সেই ভাবে মৃত্যুর আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেতা হিসাবে ও পরিচিতি লাভ করেছিলেন।
শিল্পীর জন্মদিনে চিরঞ্জিত তাপস পাল প্রসঙ্গে বলেন,’আমি, বুম্বা আর তাপসের একটা ছবি আছে, যেটা আমার ভীষণ প্রিয় একটা ছবি। অসম্ভব ভালো আমাদের বন্ধুত্ব ছিল।’ তাপস পালের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রসঙ্গে চিরঞ্জিত জানালেন, ‘একসঙ্গে অনেক জীবন ছবি করেছি, তার মধ্যে একটা হল জীবন, যেটা কিনা অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না অভিনীত ছবি আনন্দ-এর বাংলা। অমিতাভের চরিত্রটি আমি আর রাজেশ খান্নার চরিত্রটি তাপস করেছিল।
তিনি আরোও বলেন, “ও সুপারস্টার ছিল। ভালোবাসা ভালোবাসা, দাদার কীর্তি-র মতো ছবি যখন ও করছে তখন আমাদের মধ্যে ও-ই ১ নম্বরে ছিল। নিজের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে নিজের জায়গাটা ও নষ্ট করে ফেলল। তবে আবার নিয়তি কারণেও কিছু ঘটনা ঘটে যায়। এমন একটা ভুল কথা ও বলে ফেলল, যে কারণে ওর জীবনটাই নষ্ট হয়ে গেল। খুব দুর্ভাগ্যের, ওটা যে বলা উচিত হয়নি, সেটা ও খুব ভালো করে জানত। তারপর বহুবার ও ক্ষমা চেয়েছে, কিন্তু ক্ষমাটা আর কেউ করল না! একবার চিহ্নিত যেটা হয়ে গেল, তারপর এজীবনে সেই কলঙ্ক আর গেল না। এটা বড় ভয়ঙ্কর জায়গা। একে ফিল্মস্টারের কলঙ্ক তৈরি করতে লোক ভালোবাসে। তারপর ও তখন তৃণমূলের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাই কেউ ছাড়বে না। সেটা খুবই দুঃখের। আজও আমি ওর সেই হাসি ভুলতে পারি না। অদ্ভুত একটা হাসি ওর। উত্তম কুমার আর বলিউডের রাজেশ খান্নার পর এই হাসি বোধহয় আর কারোর নেই।’
তার সাথে এমন অনেক সুন্দর মুহূর্তের কথা তিনি এদিন বলেন। তার কথায় তাপস পাল খেতে খুব ভালবাসতেন। তিনি খুবই সরল মানুষ ছিলেন। আজও তার কথা খুব মনে পড়ে তার বন্ধুদের।