বিনোদন জগতে সাফল্য অর্জন করা সহজ নয়। অনেকেই সোনার চামচ মুখে নিয়ে আসেন না; বরং কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং প্রতিভার মাধ্যমে নিজেদের জায়গা তৈরি করতে হয়। এই দীর্ঘ যাত্রায় তাঁরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, যা তাঁদেরকে আরও দৃঢ় এবং সফল করে তোলে।
টলিউডে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে নিজেদের প্রতিভা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন। ছোট চরিত্রে অভিনয় থেকে শুরু করে প্রধান ভূমিকায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাঁরা। এই যাত্রা তাঁদেরকে শুধু পেশাগত নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও সমৃদ্ধ করেছে।
দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় তেমনই একজন অভিনেত্রী, যিনি টলিউডে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। ‘সাঁঝের বাতি’ এবং ‘সাহেবের চিঠি’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন। তাঁর অভিনয়ের সাবলীলতা এবং চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা তাঁকে দ্রুতই জনপ্রিয় করে তোলে। অভিনেত্রী বাবা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, হেরে গিয়েছিলেন পরিস্থিতির কাছে। কিন্তু অভিনেত্রীর কথায় তিনি তার মায়ের মতো। তার মা যেরকম তাকে শক্ত হাতে মানুষ করেছেন তিনিও সেই রকম ভাবেই জীবনে বাঁচবেন।
আরও পড়ুনঃ বামপন্থী মনস্ক একজন মানুষ অন্তিম জীবনে এতটা মমতাপন্থী কি করে হয়ে গেলেন? প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে অকপট চন্দন সেন
টলিউডে সাফল্যের পর দেবচন্দ্রিমা বলিউডেও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন। তিনি হিন্দি ধারাবাহিক ‘সুহাগন চুড়েল’-এ প্রধান চরিত্র ‘দিয়া’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যা কালার্স টিভিতে সম্প্রচারিত হয়। এই ধারাবাহিকে তাঁর সহ-অভিনেত্রী ছিলেন নিয়া শর্মা, যিনি চুড়েলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। হিন্দি টেলিভিশনে এটি ছিল দেবচন্দ্রিমার প্রথম কাজ, যা তাঁর কেরিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সম্প্রতি, ‘সুহাগন চুড়েল’ ধারাবাহিকটি শেষ হয়েছে, এবং দেবচন্দ্রিমা নতুন প্রজেক্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মুম্বইয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, ভাষাগত চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছেন এবং নিজের দক্ষতা বাড়াচ্ছেন। ভবিষ্যতে তিনি আরও বড় প্রজেক্টে কাজ করার আশা প্রকাশ করেছেন, যা তাঁর কেরিয়ারে আরও সাফল্য বয়ে আনবে।