বামপন্থী মনস্ক একজন মানুষ অন্তিম জীবনে এতটা মমতাপন্থী কি করে হয়ে গেলেন? প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে অকপট চন্দন সেন

‘আমি বাংলায় গান গাই’- এই গানের স্রষ্টা প্রতুল মুখোপাধ্যায় (Pratul Mukhopadhyay) আজ আর নেই। তবে এ জগতে বাঙালি যতদিন থাকবে তাঁর কথা বারে বারে উঠে আসবে সংগীত জগতে। দীর্ঘ প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করার পর ৮৬ বছর বয়সে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন এই কিংবদন্তি শিল্পী।

খুব স্বাভাবিকভাবেই বাক্যহারা হয়েছেন শত শত সংগীত প্রেমীরা। একদিকে যেমন গান ছিল প্রতুলবাবুর প্রধান পেশা অন্যদিকে তিনি ছিলেন বামপন্থীমনস্ক এক মানুষ। তাই তাঁর গান ছিল বরাবর অনেকটাই রাজনৈতিক মতাদর্শকে কেন্দ্র করে। এক কথায় তার গান গণনাট্যের উত্তরাধিকার বলা যেতে পারে।

বর্তমানে প্রয়াত এই শিল্পীকে কেন্দ্র করে নাট্যকার চন্দন সেনের দেওয়া এক সাক্ষাৎকার বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে আজকের সমাজে। প্রাথমিকভাবে এই ইন্টারভিউতে অভিনেতা চন্দন প্রতুল বাবুর গানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও পরবর্তীকালে তাঁর কিছুটা হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কথার মাধ্যমে।

আরও পড়ুনঃ ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে একসঙ্গে শুভ-আদৃত! জিনিয়ার মুখোশ কি সবার সামনে টেনে খুলতে পারবে শুভ?

অভিনেতা চন্দনবাবু তাঁর কথার মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন কলকাতায় রাজনীতিতে পালা বদলের সময় থেকে প্রয়াত গায়কের ভূমিকা রয়েছে। অভিনেতার কথায় প্রতুল বাবুর প্রতি তাঁর ভাবনা ছিল “উনি আর পাঁচটা মানুষের মতো নন চেতনা এবং সংবেদনশীলতা বেশী”। পরবর্তীকালে প্রতুলবাবুর মন মানসিকতা অনেকটাই অবাক করেছে নাট্যকার চন্দন সেন’কে।

এত গায়ককে নিয়ে বলার সঙ্গে সঙ্গে নাট্যকার আজকের দিনের একাংশ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথা তুলে ধরলেন যারা কিনা যেকোন‌ও পরিস্থিতিতেই নিজের সমর্থিত রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে চলছে তা সে যতই অন্যায় করুক। কার্যত বলা যায় চন্দন এইসব শিল্পীদের শিল্পীসত্তার দিকে আঙুল তুলেছেন। অভিনেতা চন্দন সেনের এই ইন্টারভিউ এক কথায় নাড়িয়ে দিয়েছে এই সমাজকে।