“দীর্ঘদিন অভিনয় জগতে কাজ করেছি, ২০১৮ সালে ক্যা’ন্সার ধরা পড়ে”— সহকর্মীদের অপমান সহ্য করে মা’রণরোগের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে ফের ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান অভিনেত্রী ইশা ভট্টাচার্য! তাঁর লড়াইয়ের গল্প চোখ ভেজাবে আপনার

বিনোদন জগতকে যতই ঝলমলে মনে হোক না কেন, এর আড়ালে লুকিয়ে থাকে বহু না বলা কাহিনী। ক্যামেরার সামনে উজ্জ্বল হাসির পেছনে অনেক সময় লুকিয়ে থাকে অশ্রু, কষ্ট আর লড়াইয়ের ইতিহাস। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবনে যতই সাফল্যের আলো থাকুক, ব্যক্তিগত জীবনের অন্ধকার অনেক সময় সেই আলোকে ম্লান করে দেয়। এমনই এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী এষা ভট্টাচার্য।

সম্প্রতি এক ভিডিওতে অভিনেত্রী খোলাখুলি জানিয়েছেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন হলো অভিনয় জগতে কাজ করছি। ২০১৮ সালে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে আমার, তারপর শুরু হয় চিকিৎসা। সেইসময় পরিবারকে পাশে পেয়েছি।’’ অসুস্থতার কারণে তিনি বেশ কয়েক বছর অভিনয় জগত থেকে দূরে ছিলেন। তবে মারণরোগের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে এনেছেন হাসিমুখেই। পাশে ছিলেন স্বামী দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং মেয়ে প্রেরণা ভট্টাচার্য, যাদের নিরন্তর সমর্থন তাকে ভেঙে পড়তে দেয়নি।

ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় এষাকে কেমোথেরাপির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ফলস্বরূপ মাথার চুল পড়ে গিয়ে তাকে ন্যাড়া অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যিনি সবসময় সাজতে ভালোবাসতেন, তার জন্য এটি ছিল ভয়ঙ্কর আঘাত। একসময় ভেবেছিলেন আর হয়তো ক্যামেরার সামনে ফেরা সম্ভব হবে না। কিন্তু হাল ছাড়েননি। নিজের মত করে মাথায় পরচুল লাগিয়ে সেজেছেন, হাসিমুখে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। তার এই শক্তি এবং আত্মবিশ্বাসই তাকে ধীরে ধীরে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে এনেছে।

অতীতের কথা শেয়ার করতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, একসময় সহকর্মীদের কাছ থেকে চরম অপমান সহ্য করতে হয়েছে। এমন অনেক সময় এসেছে যখন বাড়িতে ফিরে কেঁদেছেন, কিন্তু মুখের উপর কিছু বলতে পারেননি। তবু এই সমস্ত অভিজ্ঞতা তাকে আরও শক্ত করেছে। তিনি মনে করেন, এই অপমানই তাকে কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়াই করার মানসিকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতেও সেই মানসিক দৃঢ়তা বড় ভূমিকা নিয়েছে।

এষা ভট্টাচার্য নিজের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন দর্শকদের উদ্দেশে—জীবনের কোনও কষ্টই স্থায়ী নয়, লড়াই করলে জয় আসবেই। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, আশাই মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি। তার এই ক্যান্সার জয়ের গল্প শুধু ব্যক্তিগত লড়াই নয়, বরং সমাজের অসংখ্য মানুষকে সাহস জোগাচ্ছে। আজ তিনি আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন, আর সেই মুহূর্ত তার কাছে যেন এক নতুন জন্মের সমান।

আরও পড়ুনঃ “তোর মতো গোবিন্দ আবারও বানাতে পারি!”— প্রথম সুযোগ দিয়েছিলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বড়পর্দায় পা রেখেই রোহনের স্বার্থপর আচরণ! গুরুকে ভুলে গেছেন শিষ্য? রোহনের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ প্রযোজক! এই কারণেই বাদ পড়েন পরশুরাম থেকে?

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

You cannot copy content of this page