পটকার বিপদে টাকা জোগাড় করতে গয়না বিক্রি করল গুনগুন, নেট পাড়ার মন্তব্য, ‘একেবারে আদর্শ বউমার মতো কাজ’

স্টার জলসার একটি বেশ জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘খড়কুটো’। দর্শকদের বেশ প্রিয় এই ধারাবাহিক। তবে বিগত কয়েক সপ্তাহে টিআরপির তালিকায় সেরা দশে আর এঁটে উঠতে পারছে না গুনগুন-সৌজন্য। এই কারণে এবার আগামী ১০ই জানুয়ারি থেকে সময় পরিবর্তন করছে ‘খড়কুটো’। এবার এই ধারাবাহিক দেখা যাবে দুপুরের স্লটে।

ধারাবাহিকে দর্শক টানতে আনা হচ্ছে নতুন টুইস্ট। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে যে পেটের ব্যাথায় কাতর হয়ে পড়েছে পটকা। গুনগুনের ড্যাডি তাঁকে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন যে পটকার পেটে একটা টিউমার রয়েছে যা খুব তাড়াতাড়ি অপারেশন করা দরকার। এরপরই জানা যাবে সেটি ঠিক কতটা ক্ষতিকর।

এই শুনে বেশ চিন্তায় মুখার্জী পরিবার। মন খারাপ গুনগুনেরও। অল্প দিনেই পটকাকে বেশ ভালোবেসে ফেলেহে সে। পটকার চিকিৎসার জন্য দরকার অনেক টাকার। কীভাবে কোথা থেকে সেই টাকা আসবে, সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় গোটা পরিবার। এই নিয়ে সকলেই ব্যস্ত আলোচনা করতে।

সৌজন্য এদিকে জানিয়েই দিয়েছে যে পটকার চিকিৎসার জন্য গুনগুনের বাবার থেকে কোনও রকমের কোনও সাহায্য নেবে না সে। এই কারণে উপায় না পেয়ে নিজের সমস্ত গয়না বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় গুনগুন। কাউকে কিছু না জানিয়েই একেবারে জলের দামে সমস্ত গয়না বিক্রি করে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে বাড়িতে হাজির হয় সে।

কিন্তু গুনগুনের কাছে এত টাকা দেখে স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ভুল বোঝে সে। সকলেই ভাবে সে হয়ত তাঁর ড্যাডির থেকেই টাকা এনেছে। সকলেই যখন তাঁকে দোষারোপ করতে থাকে সেই সময় গুনগুনের পাশে দাঁড়ায় মিষ্টি বউদি। সে বলে যে গুনগুনকে অন্তত কিছু বলার সুযোগ তো দেওয়া হোক।

এরপরই গুনগুন জানায় যে তাঁর এতটুকু আত্মসম্মান বোধ রয়েছে যে সে নিজের ড্যাডির থেকে টাকা নেবে না। এরপর সে জানায় নিজের গয়না বিক্রির কথা। এই শুনে এবার মুখার্জী পরিবার ও সৌজন্য কী প্রতিক্রিয়া দেয়, এখন সেটাই দেখার।