“লোকদেখানো আমার পছন্দ নয়, অনেক টাকাও মানসিক প্রশান্তি দিতে পারে না!” “খ্যাতি কিংবা বিলাসিতার মধ্যেই জীবনের সম্পূর্ণতা খোঁজা ভুল!”— নিজের চারপাশে পজিটিভিটি ছড়াতে বিশ্বাসী ঐশী! ছোট পর্দার ‘খনা’ বাস্তব জীবনে কেমন?

অনেক অল্প বয়সে ‘খনা’র মতো দৃঢ় চরিত্র দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ অভিনেত্রী ‘ঐশী ভট্টাচার্য’র (Aishi Bhattacharya)। যাঁকে একসময় দর্শক দেখেছেন ‘শ্রীময়ী’র দিঠি কিংবা ‘ইচ্ছে পুতুল’-এর গিনি রূপে, আজ তিনি ছোটপর্দায় অত্যন্ত পরিচিত মুখ। বর্তমানে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’-তে (Chiroshokha)। বয়সে তরুণ হলেও, অভিনয়ে তাঁর দক্ষতা এবং পরিণত চিন্তাভাবনা তাঁকে আলাদা করে তুলেছে ইন্ডাস্ট্রিতে।

অনেক কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে দাঁড়িয়ে নিজের জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন ঐশী, আর তাতেই স্পষ্ট তাঁর মনের জোর ও অধ্যবসায়। ছোটপর্দার এই খনা বাস্তব জীবনেও খুব পরিণত ও সুনিয়ন্ত্রিত। ব্যক্তিগত জীবন এবং কাজের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করার কৌশল রপ্ত করে ফেলেছেন খুব তাড়াতাড়ি। নিজের চারপাশে সবসময় পজিটিভিটি ছড়াতে বিশ্বাসী ঐশী, এবং প্রতিদিন রাতে ‘ইউনিভার্স’কে ধন্যবাদ জানানোর অভ্যেস তাঁর জীবনের অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে।

তাঁর বিশ্বাস, এই ধন্যবাদবোধই দিনটাকে সুন্দর করে তোলে এবং তাঁকে আরও শক্ত করে। ঐশী এমন একজন শিল্পী যিনি গ্ল্যামারের মোড়কে নিজেকে লোকদেখানো ভাবতে রাজি নন। বরং জীবনের বাস্তব দিকগুলো তিনি মেনে নিতে শিখেছেন, এবং সেগুলোকে নিয়েই এগিয়ে চলেন নির্ভার ভঙ্গিতে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনও কোনও খোলামেলা আলোচনায় যান না তিনি। তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্তেই একটা পরিণত, সজাগ এবং শান্ত সত্তার ছাপ মেলে।

মনের মধ্যে যা-ই চলুক না কেন, সবসময় ক্যামেরার সামনে বা পেছনে হাসিমুখেই থাকেন অভিনেত্রী। টাকা, খ্যাতি কিংবা বিলাসিতা—এসবের মধ্যেই জীবনের সম্পূর্ণতা খোঁজা ভুল বলে মনে করেন ঐশী। তাঁর মতে, অনেক টাকাও মানসিক প্রশান্তি বা স্থিতি এনে দিতে পারে না, যদি মনের ভিতরটা না থাকে শান্তিতে। সমাজের এই ধরণের একরৈখিক বিচার তাঁকে আহত করে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সুখ মানে কেবল অর্থ নয়!

আরও পড়ুনঃ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অনুপমা’র সেটে ভোরবেলা বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! চারটি ইঞ্জিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন! টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে আতঙ্কের ছায়া! কী পরিস্থিতিতে আছেন বঙ্গতনয়া রূপালি গাঙ্গুলী?

মানসিক স্বস্তি ও জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতাও সুখের অন্যতম উৎস।” তাঁর জীবনযাত্রা আমাদের শেখায় যে, সত্যিকারের সাফল্য কেবল পর্দায় অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে মাপা যায় না। বরং বাস্তব জীবনেও নিজেকে যত্ন করে গড়ে তোলা, নিজের প্রতি সততা রাখা, এবং অন্যদের ভালো রাখার ইচ্ছাই একজন শিল্পীকে পূর্ণতা দেয়। তার পজিটিভ অ্যাটিটিউড, গভীর মানসিকতা এবং প্রাঞ্জল উপস্থিতি তাঁকে আজকের প্রজন্মের মধ্যে অনন্য করে তুলেছে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।