প্রখ্যাত অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy) বাংলা চলচ্চিত্রের এক স্মরণীয় নাম। তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) প্রয়াণের পর থেকেই যেন তাঁর জীবনে নেমে এসেছে এক নিঃসঙ্গতার অধ্যায়। জীবনের সঙ্গীকে হারানোর পর ৮১ বছরের অভিনেত্রী এখন কলকাতায় নিজের বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন। সিনেমা বা টেলিভিশন থেকে বহু দূরে সরে গিয়েছেন তিনি। তবে চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর ভালবাসা আজও অটুট।
বর্তমানে সন্ধ্যা রায় বেশিরভাগ সময় একাই থাকেন। তাঁর জীবনজুড়ে এখন শুধুই স্মৃতি। পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রায়ই তরুণ মজুমদারের সঙ্গে কাটানো দিনের কথা উল্লেখ করেন। বাড়িতে বই পড়া, পুরনো সিনেমা দেখা আর পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে মাঝে মাঝে আড্ডাই এখন তাঁর সময় কাটানোর প্রধান মাধ্যম। একান্তে থাকলেও টলিউডের অনেক সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন তিনি।
তরুণ মজুমদারের সঙ্গে শেষ সময়ে তাঁর কিছু অপূর্ণ অভিমান থাকলেও, এখন সেসব ভুলে তিনি তাঁর স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে আছেন। বেশিরভাগ সময় তিনি স্মৃতিচারণ করেন তরুণের সিনেমাগুলো নিয়ে। পরিচালকের সৃষ্ট ছবিগুলোই যেন তাঁর জীবনের অবলম্বন। প্রায়ই টেলিভিশনে ‘পলাতক’, ‘দাদার কীর্তি’-র মতো ছবি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তবে শারীরিক দিক থেকে এখন অনেকটাই দুর্বল সন্ধ্যা রায়। বয়সজনিত সমস্যায় ভুগলেও তিনি নিজের যত্ন নেন নিয়মিত। খুব বেশি জনসমাগম বা সামাজিক অনুষ্ঠানেও দেখা যায় না তাঁকে। জীবনের সিংহভাগ সময় চলচ্চিত্রে কাটালেও এখন নিজের সময়টা নিজেকেই দিচ্ছেন। পরিচিতরা জানাচ্ছেন, সন্ধ্যা রায় মাঝে মাঝে কবিতা লেখেন এবং নিজের ভাবনাগুলো ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করেন।
আরও পড়ুন: রাঙার জীবনে নতুন মোড়! বিয়ে ও আত্মসম্মান রক্ষায় টিচার দিদিমণির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নায়িকা!
তাঁর নিকটজনদের মতে, তরুণ মজুমদারের স্মৃতি নিয়েই দিন কাটছে তাঁর। কখনো ছাদে বসে নীরবে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন, কখনো পুরনো অ্যালবাম হাতে সময় কাটান। তিনি বলেন, “তরুণের তৈরি সিনেমাগুলোই আজ আমার কাছে তাঁর উপস্থিতি।” স্মৃতির সম্বলেই যেন বেঁচে আছেন তিনি।