“আর জি কর আন্দোলনের সময়, আমাকে খি’স্তি মেরেছিল জীতু!”— বি’স্ফো’রক কিঞ্জল, দিতিপ্রিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে এবার মুখ খুললেন তিনি! বিতর্কের আগুনে ঘি, নতুন মোড় দিতিপ্রিয়া-জীতু বিতর্কে!

অবশেষে এক বি’স্ফোর’ক অভিযোগ ঘিরে ফের উত্তাল টলিপাড়া। জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর (Chirodini Tumi Je Amar) জুটি ‘দিতিপ্রিয়া রায়’ (Ditipriya Roy) এবং ‘জীতু কামাল’-এর (Jeetu Kamal) সম্পর্ক নিয়ে চলছিল নানা জল্পনা, এবার সেই জল্পনায় একপ্রকার সিলমোহর দিলেন দিতিপ্রিয়া নিজেই। সোমবার একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি প্রকাশ্যে আনেন তাঁর অস্বস্তির কথা, অভিযোগের তির তোলেন সহঅভিনেতা জিতুর দিকেই। এমন পরিস্থিতিতে আবার নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন আরেক টলিপাড়ার পরিচিত মুখ— ‘কিঞ্জল নন্দ’ (Kinjal Nanda)

প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সূত্রপাত দিতিপ্রিয়ার পোস্ট ঘিরে। যেখানে তিনি দাবি করেন, শ্যুটিং চলাকালীন জিতুর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বহু আগেই। একাধিকবার তিনি রাতে ‘অ’শালী’ন’ মেসেজ পেয়েছেন বলে জানান। এমনকি দিতিপ্রিয়ার বয়ানে উঠে আসে এমনসব প্রশ্ন এবং কথোপকথনের উল্লেখ, যা নিঃসন্দেহে একজন সহকর্মীর পক্ষ থেকে কাম্য নয়। অভিনেত্রীর দাবি, তিনি দীর্ঘদিন চুপ থেকেছেন শুধুমাত্র ধারাবাহিক এবং দর্শকের স্বার্থে।

কিন্তু এখন ব্যক্তিগত স্তরে বিষয়টি পৌঁছে যাওয়ার, আর নিরবতা বজায় রাখতে পারছেন না। এই পোস্টটি সামনে আসতেই তা ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি। আর সেই পোস্টই নিজের প্রোফাইলে শেয়ার করেন অভিরূপ সেন নামে এক ব্যক্তি। ঠিক সেই শেয়ারের নিচেই একটি বিস্ময়কর মন্তব্য করেন কিঞ্জল নন্দ। তিনি লেখেন, “এই ছেলেটা আন্দোলনের সময় আমাকে খি’স্তি মেরেছিল। ওর ফোন ধরিনি বলে।” এই একটি লাইনের মন্তব্যই কার্যত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলে।

কারণ কিঞ্জল নিজে একজন সমাজসচেতন শিল্পী হিসেবে পরিচিত এবং আরজিকর আন্দোলনের সময় তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যদিও কিঞ্জল নন্দ নিজের মন্তব্যে বেশি কিছু খোলসা করেননি, এমনকি তাঁর সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের যোগাযোগের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাঁর এই মন্তব্য দিতিপ্রিয়ার দাবিকে আরও জোরালো করেছে বলেই মনে করছেন অনেকে। ইতিমধ্যে এই বিতর্ক নিয়ে সমাজ মাধ্যমে শুরু হয়েছে নতুন করে তর্কবিতর্ক।

আরও পড়ুনঃ “আমি অবসর নিতে চাই। গত দুই বছরে ২২টি হিন্দি কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি! এখন এমন কোনও চরিত্র নেই যেটা আমাকে টানে”- সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি থেকে ক্রমশ‌ই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, একজন সহশিল্পী হিসেবে বারবার যদি কেউ সীমা লঙ্ঘন করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে মুখ খোলা কি অপরাধ? পুরো পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এখন দেখার বিষয়, জীতু এই সমস্ত অভিযোগের কী নতুন জবাব দেন। দিতিপ্রিয়ার অভিযোগ, কিঞ্জলের মন্তব্য, এবং সমাজ মাধ্যম প্রতিক্রিয়া— সব মিলিয়ে চিরদিনই তুমি যে আমার-এর পর্দার বাইরের গল্প এখন অনেকটাই বিতর্কের রঙে রাঙানো। টলিপাড়ার অন্দরের এই ঘটনা আরও কতদূর গড়ায়, এখন সেটাই দেখার।