কোয়েল মল্লিক টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী।তার আরো একটি পরিচয় আছে। তিনি অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের মেয়ে। ২০০৩ সালে টলিউডে আত্মপ্রকাশ ঘটে কোয়েলের। তার প্রথম ছবি নাটের গুরু। এই সিনেমার পর থেকেই লাইম লাইটের আলো শুষে নেন তিনি। টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ, দেব, জিৎ থেকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সকলের সাথেই ধারাবাহিকতার সাথে কাজ করেছেন, টলিউডের একটানা সফলতা এনে দিয়েছেন।তার অভিনয় দক্ষতা স্বাভাবিক ভাবেই তাকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়তে থাকে অনুগামীর সংখ্যা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোয়েল তার মল্লিক বাড়ির পূজার কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। এগুলো সবই তার ছোটবেলার ছবি। করোনা পরিস্থিতি মধ্যে দুর্গা পূজা গতবছরে ছোটো করেই পালন করা হয়েছে। এবছরের আর ৯৯দিন বাকি পূজো, তার আগে কলকাতার মল্লিক বাড়ির পূজোর কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন কোয়েল। সেখানে তার ছোটো বেলার মুহূর্ত ভাগ করে নেন তিনি।
ভিডিওতে তিনি বলেন, বাড়ির সব থেকে ছোট সদস্য ছিলেন তিনি।যৌথ পরিবারে সকলের সাথে হই হুল্লোড় করে মজা করে একসাথে বড়ো হয়েছেন তিনি। কিন্তু যখন তিনি ছোটো ছিলেন সেই ভাবে তাকে কেউ গুরুত্ব দিত না।মল্লিক বাড়ির সামনে নর্দান পার্ক। সেখানে সকলে মিলে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিলেও কোয়েল কে নিয়ে যাওয়া হতো না। তাকে না নিয়েই বাড়ির দাদা দিদিরা ঘুরতে বেরত। এই দেখে কান্না জুড়ে দিতেন তিনি।
এই সময় তার সহায় হন তার মেজো জেঠু। তাকে নিয়ে ঘুরতে যান, এবং ফুচকা খাওয়াবেন বলেন।ঘুরতে বেরিয়ে ৫০টা ফুচকা খেয়েছিলেন তিনি। অকপট স্বীকারোক্তি দেওয়ার আগে তিনি অবশ্য জানান “কেউ বিশ্বাস করবে না আমি জানি! তবে আমি কিন্তু সত্যি কথা বলছি”। এরপর তিনি আরো বলেন ‘আমি সেদিন ৫০টা ফুচকা খেয়েছিলাম কাঁদো কাঁদো মুখ করে। যদিও খাওয়াটা উচিত হয়নি একটু অন্তত লজ্জা পাওয়া উচিত ছিল। তবে সেদিন লজ্জা মাথায় ছিল না। জ্যেঠু ২৫টা মত ফুচকা খাওয়ার পর রীতিমত জিজ্ঞাসা করতে থাকে আরো খাবি তো?” তখনও কোয়েল খাওয়া চালিয়ে যান।
অভিনেত্রীর ছোটবেলার এই ফুচকা কাহিনী শুনে রীতিমত ভালোবাসা ভরিয়ে দেন অনুরাগীরা। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। প্রায় এক লক্ষ মানুষ এই ভিডিও দেখেছেন। দীর্ঘদিনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি তাই অনুরাগীরা মুখিয়ে থাকেন তাকে দেখার জন্য।
View this post on Instagram