EXCLUSIVE Ayesha Bhattacharya: “কাঞ্চি”র পর বড় ব্রেক, ছোট পর্দা থেকে এবার সোজা বড় পর্দা! সুপারস্টার জিতের সঙ্গে অভিনয়! খলনায়িকা রোহিণী থেকে “চেঙ্গিস”- এর সোনালী হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন আয়েশা
বেশ কয়েক বছর পর আবার একবার পুরোপুরি অ্যাকশন ফিল্ম নিয়ে আসছেন টলিউডের সুপারস্টার জিৎ। নিজের জন্মদিনের দিন এই ছবির প্রথম ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই তার ভক্তরা দারুনভাবে উৎসাহিত এই নতুন ছবির জন্য। রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় এবং জিৎ ফিল্মওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রযোজনায় আসছে ‘চেঙ্গিস’। এই ছবিতে জুটি বাঁধতে দেখা গেছে জিৎ এবং অভিনেত্রী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়কে। তবে তাদের সাথে সাথে ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আয়েশা ভট্টাচার্য।
এর আগে আয়েশাকে ছোট পর্দায় অনেক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গেছে। কিছুদিন আগে আকাশ আটের ‘কাঞ্চি’ ধারাবাহিকে তিনি অভিনয় করতেন খলনায়িকা রোহিণীর ভূমিকায়। সম্প্রতি আয়েশা আমাদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তার প্রথম বড় পর্দার কাজ নিয়ে কথা বললেন। এবং সেইসঙ্গে জানালেন কেমন ছিল চেঙ্গিসে জিতের সঙ্গে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা।
*প্রথমেই জানতে চাইবো তোমার চরিত্রটা নিয়ে*
আয়েশা- চরিত্রটির নাম হল সোনালী। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র এই ছবিতে। আমাকে প্রথমে ফেসবুকে মেসেজ করেছিলেন এই ছবির অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর তন্ময় সেনগুপ্ত। ওঁর সাথে আমি আগে একটি প্রজেক্ট করেছিলাম ইটিভি বাংলায়। ‘বামাক্ষ্যাপা’তে আমি ওঁর সাথে অনেক ছোটবেলায় কাজ করেছিলাম। তারপরে আর সেভাবে কাজ করা হয়নি কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগ ছিল। তাই ফেসবুকেই তিনি আমাকে মেসেজ করেন এবং বলেন যে তুই কি খুব ব্যস্ত না হলে চলে আয় আজকে একটু জিতের অফিসে। তো সেদিন আমার শুটিং ছিল। তারপরে আমার মনে আছে যেদিন আমি যাই সেদিন শনিবার ছিল। মায়ের সাথে সেখানে গিয়ে আমাকে অনেকগুলো ক্যারেক্টার বোঝানো হয়। তো আমি বুঝতে পারিনি আমার সামনে যিনি বসে আছেন তিনিই পরিচালক। কিন্তু এটা বুঝতে পারছিলাম যে কেউ একজন আমাকে খুব কড়া চোখে দেখছেন। তারপরে আমাকে বলা হয় তিনিই ডিরেক্টর। এই ক্যারেক্টারটার জন্য আমি বহু বছর পরে আবার অডিশন দিলাম। তারপরে একটা স্ক্রিপ্ট আমাকে দেওয়া হল সেটা আমি কিছুক্ষনের মধ্যে পড়েই ফেরত দিয়েছিলাম। আর সেটা দেখে আমাকে উনি জিজ্ঞাসা করেন যে তোমার এত তাড়াতাড়ি পড়া হয়ে গেল? আমি বললাম, হ্যাঁ। এটা আমাকে অনেকেই এর আগে বলেছে যে আমি খুব তাড়াতাড়ি স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করতে পারি। আরো দুদিন ডাকা হল। তারপর প্রথম যেদিন শুটিং শুরু হল সেটা অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা ছিল। প্রচুর নতুন ধরনের দৃশ্য করেছি, প্রচুর চ্যালেঞ্জিং দৃশ্য করেছি। জিৎদার সঙ্গেও অনেকগুলো সিন করার সুযোগ পেয়েছি। তিনিও আমাকে অনেক অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন। একটা খুব ভালো এক্সপেরিয়েন্স ছিল এটা।
*এই ছবিটা মুক্তি কবে পেতে চলেছে?*
আয়েশা – এই ছবির মুক্তি পাওয়ার তারিখ এখনও জানানো হয়নি। যতদূর শোনা যাচ্ছে জানুয়ারিতে হবে। তবে এখনো কোনো রকম ঠিকঠাক খবর জানা যায়নি। তবে নয় জানুয়ারি আর না হলে ফেব্রুয়ারিতে রিলিজ করবে এই মুভি। তাই এখনও পর্যন্ত কারো কাছে এই সম্বন্ধে পুরোপুরি খবর নেই। আপাতত জিৎদার জন্মদিনের দিন এই মুভির ট্রেলার লঞ্চ করেছে। দেখা যাক এবার ছবিটা কবে রিলিজ করে। তো সেটার জন্য খুবই এক্সাইটেড এবং নার্ভাসও।
*এটা তো তোমার প্রথম ছবি বোধহয়?*
হ্যাঁ বড় বয়সে এটা আমার অফিশিয়ালি প্রথম বড় পর্দার ছবি। এর আগে বড় বয়সে আমি আরেকটা মুভি করেছিলাম যেটাতে আমি সেকেন্ড লিড ছিলাম। কিন্তু সেটা এমন সময় রিলিজ করে যখন লকডাউন ওঠার পরে সবে সবে ছবিগুলো রিলিজ করছিল সেই সময়। তাই সেটাকে আমি সেভাবে ধরি না। তাই ‘চেঙ্গিস’কেই আমি বলব এটা আমার অফিশিয়ালি প্রথম বড় পর্দার ব্রেক।
*তার মানে ‘কাঞ্চি’ ধারাবাহিকের পরে একেবারে সোজা বড়পর্দায়? কতটা খুশি তুমি*?
আয়েশা- খুশি তো অবশ্যই। তার সঙ্গে অনেক বেশি এক্সাইটেড। এবং অনেক বেশি নার্ভাস, তার কারণ এতদিন আমরা নিজেদেরকে ছোট পর্দায় দেখে এসেছি। তার সাথে এখন নিজেকে বড়পর্দায় দেখবো। আর যেদিন মুক্তি পাবে সেদিন তো শুধু আমি দেখবো না তার সঙ্গে অনেক মানুষ দেখবে। তাদের কেমন লাগে সেইসব নিয়ে একটু টেনশনে রয়েছি।
*এখন তো সবাই দেবের প্রোডাকশনে কাজ করছে, যেমন শ্বেতা ভট্টাচার্য। তিনি প্রথমেই ব্রেক পেয়েছেন দেবের প্রোডাকশনে। সে জায়গায় এখন জিৎ কাজের দিক থেকেও অনেকটাই কম কাজ করছেন। সেখানে কি তোমার মনে হচ্ছে যে তুমি একটা রিস্ক নিয়ে ফেলেছ?*
এই ছবিটা একেবারেই অন্য রকমের একটি ছবি। জিৎদার অনেক ছবি একটু অন্যরকম হয়। আর জিৎদাকে এখানে যে কোনো একটা লুকে দেখা যাবে না। তাকে অনেকগুলো লুক এবং অনেক রকমের লুকে দেখতে পাওয়া যাবে। আর সবাই জানে জিৎদা প্রত্যেকটা মুভিতে নিজের লুক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে। আমাদের টলিউডের হৃত্বিক রোশন এক কথায়। আর জিৎদার অভিনয় আর লুক নিয়ে তো কোন কথাই হবে না। আর এটাও বলবো যে এখনো পর্যন্ত টলিউডে এমন গল্প নিয়ে কোনও ছবি আসেনি। তাই এই গল্পটা একেবারেই অন্যরকম।
*শেষে যদি একটুখানি ছবির গল্পটা কেমন বলো?*
আয়েশা – গল্পটা পুরোপুরি একটা মাফিয়া গ্যাং নিয়ে। বেশ একটু পুরনো দিনের গল্প। যেমন আশি নব্বইয়ের দশকের সময়ের গল্প তুলে ধরা হয়েছে এখানে। এবং এটা একটা সত্যিকারের ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। আমাদের যিনি পরিচালক রাজেশ গাঙ্গুলী ওঁর লেখা গল্প এটা। উনি সেই সময়ের গল্পের উপর ভিত্তি করে এই ছবিটি লিখেছেন।
সাক্ষাৎকার – তিতলি ভট্টাচার্য