টলিউডে সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) মানেই এক দীর্ঘ অধ্যায়। অভিনয় জীবনে আজ পর্যন্ত তাঁর ঝুলিতেই সবথেকে বেশি ব্লকবাস্টার। টলিউডের প্রসেনজিৎ মানেই ইন্ডাস্ট্রি। পর্দায় যাঁর এতটা বিস্তার, পর্দার বাইরে তাঁর পরিবার নিয়েও মানুষের কৌতূহল থাকাটাই স্বাভাবিক। ছেলে তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে মাঝেমধ্যেই আলোচনায় এলেও, অভিনেতার মেয়ে প্রেরণাকে ঘিরে যেন এক নিঃশব্দ দূরত্ব রয়ে গেছে। তারকা বাবার পরিচয় থাকা সত্ত্বেও গ্ল্যামারের আলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন তিনি! কিন্তু কেন? এখন কোথায় সে?
একেবারেই নিজের মতো করে জীবন বেছে নেওয়া প্রেরণা আজ অন্য এক দেশের বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, প্রসেনজিৎ এবং অপর্ণা গুহঠাকুরতার দাম্পত্য জীবনের চিহ্ন হিসেবেই এসেছিল মেয়ে প্রেরণা। নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে সেই সংসারে জন্ম নিলেও, সম্পর্কের টানাপোড়েন বেশিদিন থিতু হতে পারেনি। কিছু বছরের মধ্যেই আলাদা পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন দুই অভিভাবক। সেই সময়েই মেয়েকে নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেন অপর্ণা।
ধীরে ধীরে ভারতীয় বিনোদন জগত এবং বাবার তারকা পরিচিতির থেকে প্রেরণার জীবন সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যায়। বর্তমানে প্রেরণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী। বিনোদন জগতের নিত্যদিনের ঝলমলে দুনিয়ার বদলে তিনি বেছে নিয়েছেন আইনকে নিজের পেশা। নিজের অতীত ভুলে, পেশাগতভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পথেই হেঁটেছেন তিনি। যেখানে বাবার তারকাখ্যাতির কোনও ছায়া নেই আর সেই জন্যই সচেতনভাবেই নিজেকে আড়ালে রাখেন তিনি। সমাজ মাধ্যম কিংবা জনসমক্ষে খুব একটা দেখা যায় না তাঁকে।
আর এই পছন্দের জীবনেই তিনি সুখী আছেন এখন। উল্লেখ্য, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন রকমের আলোচনা বা বিতর্ক তৈরি হলেও, বাস্তবটা কিন্তু বেশ সংযত। প্রসেনজিৎ নিজেই একাধিকবার জানিয়েছেন যে, মেয়ের জীবনে তিনি জোর করে প্রবেশ করতে চান না। যোগাযোগ না থাকলেও তাঁর কণ্ঠে ছিল অপেক্ষার সুর ছিল স্পষ্ট! কখনও হয়তো সময় সব ঠিক করে দেবে, এটাই বিশ্বাস করেন মেয়ের বাবা প্রসেনজিৎ। এই নীরব দূরত্বের মধ্যে মেয়ের তরফেও কোনও অভিযোগের সুর নেই।
আরও পড়ুনঃ ‘রানী মা রানীই হয়…দিতিপ্রিয়া ছিল সেই রানী, যাঁকে ছাড়া জিতু ম্যাজিক বেকার!’ জনপ্রিয়তার গ্রাফে স্পষ্ট পতন, দিতিপ্রিয়া বিদায়ের পরই বড় ধাক্কা! টিআরপি তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকেই ছিটকে গেল ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’! নেটিজেনদের কটাক্ষ শিরিন-জিতু জুটিকে!
বরং রয়েছে এক ধরনের মেনে নেওয়া। যদিও কলকাতায় আসেন মাঝেমধ্যে প্রেরণা, কারণ কিছু পারিবারিক যোগাযোগ এখনও টিকে আছে তাঁর। বিশেষ করে পিসি পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার ছবি, ভিডিও মাঝে মাঝে সামনে আসে। পরিবারের কিছু মানুষের সঙ্গে এই সম্পর্কটুকুই হয়তো তাঁর শিকড়ের সঙ্গে বেঁধে রেখেছে। তবে, একই পরিবারে জন্ম নিয়েও প্রেরণা আর তৃষাণজিতের জীবন যেন দুটি আলাদা গল্প। একটি আলোয় ভরা, অন্যটি নীরব অথচ নিজের মতো করে সম্পূর্ণ।






