‘রতনে রতন চেনে, অহংকারী অহংকারীকেই চেনে’! আনফলো বিতর্কে রেহাই নেই দেবেরও! সুপারস্টার হচ্ছেন ট্রোলড
টলিপাড়া সরগরম আনফলো বিতর্ককে কেন্দ্র করে। বড় পর্দায় সুযোগ পাওয়ার পর নাকি ছোট পর্দার সহকর্মীদের আনফলো করেছেন ‘মিঠাই’ওরফে সৌমীতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundoo)। এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে এক লম্বা চওড়া পোস্টও সৌমীতৃষা প্রাক্তন সহঅভিনেত্রী তন্বী লাহা রায় (Tonni Laha) এই মুহূর্তে, স্টুডিও পাড়া উত্তাপ ছড়াচ্ছে সৌমীতৃষা বনাম তন্বী ঠাণ্ড যুদ্ধ।
নাম না করেই সৌমীতৃষাকে দুষতে ছাড়েননি অভিনেত্রী তন্বী লাহা রায়। সেই স্টোরি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে নেটদুনিয়ায়। অভিনেত্রী লিখেছেন,”প্রিয় অভিনেতা/ অভিনেত্রী, যখন প্রয়োজন ছিল তখন ফলো করে রেখেছিলেন। এখন অনেক দূর পৌঁছে যাওয়ায় আনফলো করে দেওয়া। পোষ্টে আনকোলাব করে দেওয়া! আরও অনেক দূর পৌঁছন।’ অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘জানি নিজের প্রোফাইল, নিজের ইচ্ছে! তাহলে এত বছর ফলো করে রেখেছিলেন? কোল্যাব করেছিলেন? যার গায়ে লাগবে তাঁর জন্যই এই পোস্টটা। তাও চাইব আরও ভাল হোক। গড ব্লেস!”
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরও নিজের সমাজমাধ্যমে জি বাংলা, দেব ও রুক্মিনীকে আনফলো করেছেন নায়িকা। কিন্তু তাতে স্বাভাবিক কিছুই হয়নি। বরং একাধিক মানুষের নাম জড়িয়ে পড়েছে এই বিতর্কে। বাদ যাননি দেব, রুক্মিনীও। যদিও এ প্রসঙ্গে সৌমীতৃষার স্পষ্ট বক্তব্য,””আসা যাওয়ার পথে আমরাতো কত মানুষকে ফলো করি, আনফলো করি। তাই নিয়ে নিউজ হয় কী করে? বাবাহ্ আমি এত ফেমাস! আসলে আমি বদলাইনি একটুও। তোমারা তো আমায় দেখছ? তোমার তাই মনে হয়। আমিতো আমার কষ্ট বেঁচবো ন! সবাই কষ্ট করে বড় হয়। আর যারা কষ্ট করে বড় হয় তাঁদের কোনোদিন অহংকার আসে না।”
এই আনফলো বিতর্কে একজন লিখেছেন,’বুঝলাম না, মানুষ আজকাল ফলো আনফলো নিয়ে কেন পড়েছে? যার প্রোফাইল,তার ইচ্ছা. সে কাকে ফলো করবে, কাকে আনফলো করবে এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আর যদি ফলো আনফলো দিয়ে অহংকার বোঝায়, তাহলে তো বলবো দেবদাও অহংকারী। কারণ, স্বয়ং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এতো বড় একজন মানুষ, তিনি দেবলীনা থেকে দিতিপ্রিয়া সবাইকে ফলো করেন। তারপর জিৎ দা, এতো বড় একজন সুপারস্টার হয়েও দেব,রুক্মিনী থেকে শুরু করে যশ, মনামী, নুসরাত, শুভশ্রী, শ্রাবন্তী, মিমি, তৃনা সবাইকেই ফলো করেন। সেখানে দেব এমন কী আহামরি! যে হাতেগোনা ১০-১১ জনকে ছাড়া আর কাউকে ফলো করেনা। কিছুদিন আগে সৌমিতৃষার সাথে কাজ করে এখন সৌমিতৃষাকেই আনফলো করেছে, অদ্ভুত!’
সেই নেটিজেন আরও লিখছেন, ‘আর মেয়েদের কথাই যদি বলি, স্বয়ং রুক্মিনী যদি কোয়েল, শ্রাবন্তী, মনামী থেকে শুরু করে তৃনা পর্যন্ত সবাইকেই যদি ফলো করতে পারে, তাহলে সৌমিতৃষা কি এমন আহামরি যে মিঠাই সেটের সদস্যদেরই আনফলো করে? আর যদি সৌমিতৃষা অহংকারী হয়, তাহলে তো বলবো দেব ও অহংকারী,যেমন কু’কুর তেমন মু’গুর, রতনে রতন চেনে, শু*য়োরে চেনে ক*চু,অহংকারী অহংকারীকেই চেনে, সৌমি চেনে দেবু!’
আরও পড়ুনঃ গাঁটছড়ার আগে কেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাংলা মিডিয়াম এবং কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ? এতদিন পর এল আসল কারণ
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সৌমীতৃষা অভিনীত প্রথম ছবি ‘প্রধান’। এই ছবিতে টলিউড সুপারস্টার দেবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিতে আইপিএস অফিসার দীপক প্রধানের স্ত্রী রুমি। বড়দিনের মরশুমে বক্সঅফিসে বেশ ভালই ব্যবসা করছে তাঁদের নতুন ছবি।