দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে ‘প্রসেনজিৎ weds ঋতুপর্ণা’ যে সত্যি সেটা নিশ্চিত। সামনে এলো তার এক ভিডিও। আর সেই ভিডিও সামনে আসতেই হইচই দর্শকদের মধ্যে।
না, সত্যিকারের বিয়ে হচ্ছে না। অনেকদিন ধরেই এই ছবি কে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। দর্শকদের মনে উঠেছিল নানান ধরনের প্রশ্ন। অনেকে আবার এটাও ভাবছিল যে সত্যি হয়তো এই দুই তারকা বিয়ে করতে চলেছেন দুজনের সংসার ফেলে। তবে অবশেষে সব প্রশ্নের জবাব দিল এই ট্রেলার ভিডিও।
টলিউডের দুই সুপারস্টারের উপস্থিতিতে ট্রেলার ভিডিও একেবারে জমজমাট হয়ে গেছে। আর এই ছবির মধ্যে দিয়েই টলিউডের পদার্পণ করছেন জনপ্রিয় টেলি নায়িকা ঈপ্সিতা মুখোপাধ্যায় এবং ঈপ্সিতার বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যাবে অভিনেতা ঋষভ বসুকে। এর আগে ঋষভকে আমরা বিভিন্ন ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে দেখেছি। সেখান থেকেই অভিনেতার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে বাঙালি দর্শকদের মধ্যে। ছবিতে ঈপ্সিতার চরিত্রের নাম ঋতুপর্ণা এবং ঋষভের চরিত্রের নাম প্রসেনজিৎ। আর এটা নিয়েই শুরু থেকে দর্শকদের মনে ছিল বিস্তার জল্পনা।
ঋতুপর্ণা হলো একজন সাধারণ বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে যে প্রসেনজিতের অন্ধ ভক্ত। প্রসেনজিৎ ছাড়া সে আর কিছুই বোঝে না। প্রসেনজিতের নামে একটা খারাপ কথাও শুনতে প্রস্তুত নয় সে। প্রসেনজিৎ ছাড়া সে অন্য কাউকে বিয়ে করবে না। কিন্তু অবশেষে তার বাড়ির লোক তার অজান্তেই তার বিয়ে ঠিক করে প্রসেনজিৎ নামক এক ছেলের সঙ্গে।
এদিকে বিয়ের সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে বিয়ের দিন বিয়ের মন্ডপে এসে ঋতুপর্ণা জানতে পারে সে যে নায়ক প্রসেনজিতের কথা ভাবছিল সে নয় বরং তার জায়গায় অন্য একটি ছেলের সঙ্গে তার পরিবার তার বিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেই ছেলেটি ঋতুপর্ণাকে কথা দেয় সে নায়ক প্রসেনজিতের সঙ্গে তার দেখা করাবে। কিন্তু সুপারস্টার প্রসেনজিৎকে নিয়ে বউয়ের পাগলামি একটা সময় খানিক অসহ্য হয়ে ওঠে প্রসেনজিতের কাছে।
একদিন রাগে প্রসেনজিৎ তার বউকে জিজ্ঞাসা করে ফেলে কী আছে ওই ৬০ বছরের বুড়ো মালটার মধ্যে? এটা ঋতুপর্ণা প্রচন্ড রেগে যায় এবং থাপ্পড় কষিয়ে দেয় তার স্বামীকে। এক সুপারস্টারের জন্য তাহলে কি দুই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে? আর অবশেষে ঋতুপর্ণা কি তার বহু প্রতীক্ষিত সুপার নায়ক প্রসেনজিতের দেখা পাবে?