কিছুদিন আগেও ছিল পিতৃদিবস। বাবাকে ভালোবাসার কোনও নির্দিষ্ট দিন হয় না, কিন্তু তবুও এই দিনটি চিরকালই সব সন্তান ও বাবাদের কাছে বিশেষ। টলিপাড়ার বহু তারকাই এই দিনে বাবাকে নিয়ে কিছু না কিছু পোস্ট করেছেন। এবার এক বাবার মুখে শুনবো এই বিশেষ দিনে তিনি কি বলতে চান। পাশাপাশি একজন বাবা ও একজন ছেলে হয়ে এই বিশেষ দিনের অনুভূতিটি কি? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবা কৃষ্ণশঙ্কর চক্রবর্তী ও ছেলে ইউভানকে নিয়ে কথা বলেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।
সেখানে তিনি ইউভানের ভাই-বোন হওয়ার প্রসঙ্গেও একটি কথা বলেন। যা সামনে আসতেই দর্শকমহলে হৈচৈ শুরু হয়। রাজ চক্রবর্তীর কাছে ‘বাবা মানে মনে হয় সাহস, নিরাপত্তা, যে আগলে রাখবে, এই বিষয়গুলি।’ রাজের কথায়, বাবা-মায়ের জন্যই তো সবকিছু। আজ তিনি যেখানে তা তাঁর বাবা-মায়ের কারণেই। আর তাই কোনও স্পেশাল দিনে স্পেশালভাবে বাবা-মায়ের জন্য উদযাপন করাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। রাজ্যের কথায়, “আমি যেভাবে বাবার কাছে বড় হয়েছি, আর যেভাবে ইউভানকে বড় করছি, সেটা আলাদা।
কারণ, দুটো মানুষ আলাদা, সময় আলাদা, দৃষ্টিভঙ্গি, বেড়েওঠা সবটাই আলাদা। চেষ্টা করছি যেগুলো আমি বাবার থেকেই পাইনি বলে মনে হয়েছে, সেগুলো ইউভানকে দিতে। আমার বাবার বাবাত্ব, আর আমার বাবাত্বর মধ্যে অনেকটা পার্থক্য রয়েছে।”রাজও একজন ‘ভালো বাবা’ হতে চান, তাঁর কাছে ‘ভালো বাবা’ বলতে সন্তানের উপর কোনও কিছু চাপিয়ে না দেওয়া, সন্তানকে সময় দেওয়া। পাশাপাশি রাজ মনে করেন, মায়ের সাথে সন্তানের সঙ্গে বাবাকেও কিন্তু সময় দেওয়া উচিত। সকল মা-তো সন্তানের জন্ম দেওয়া থেকে শুরু করে সবটাই করবেন, করেন। তবে বাবাদেরও অনেক কর্তব্য আছে।
পরিচালকের মতে, বাবা-মা দায়িত্বটা কিন্তু উভয়ের। আর তাই তাঁরা ইউভান হওয়ার আগে সন্তান আসার প্রথম খবর শেয়ার করে লিখেছিলাম ‘we are pregnant’। রাজের কথায়, “আমি আর শুভশ্রী ইউভানকে সুন্দর পরিবেশ আর মূল্যবোধ দিতে চাই। ব্যাস, আর কিচ্ছু বলতে চাই না, কখনওই বলব না, যে তুমি এই হও, ওই হও। ইউভান আমার আর শুভশ্রীর কাছে খেলনার মতো। আমরা খুব চটকাই। যদিও ও মা ছাড়া কারোর চটকানো পছন্দ করে না। ইউভান আসার পর বাড়ির পুরো পরিবেশই বদলে গিয়েছে। আমরা বাড়িতে সেলিব্রিটি নই, ইউভানের কাছে আর পাঁচজন বাবা-মায়ের মতোই আমরা থাকি।”
অভিনেত্রী স্ত্রী শুভশ্রী প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তিনি ইউভানের খুব ভালো বন্ধু, খুব ভালো পার্টনার, খুব ভালো অভিভাবক। রাজ জানান, ইউভান পুরোটাই মা কেন্দ্রিক। ও ওঁর মায়ের মতোই হয়েছে গুণ্ডা টাইপের (মজা করে)। শুভশ্রীও খুব ছোটবেলায় এনার্জেটিক ছিল, যেটা পুরোটাই ইউভান পেয়েছে। ইউভান প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় গল্প শুনে তবেই ঘুমতে যায়। বাবা-মায়ের মাঝে ঘুমোতেই ও বেশি ভালোবাসে। পাশাপাশি রাজ তাঁর একটি মনের ইচ্ছাও রাখেন সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেন, শুভশ্রীও ভীষণ বাচ্চা ভালোবাসেন, তাই তাঁরা চান ইউভানের একটি ভাইবোন হোক।