বিনোদন জগৎ বরাবরই রঙিন, কিন্তু এর আড়ালে থাকে বহু কঠোর পরিশ্রম, চ্যালেঞ্জ এবং আত্মত্যাগ। শিল্পীরা নিজেদের কাজের প্রতি এমন ভাবে নিবেদিত থাকেন যে, কখনও কখনও শরীর-স্বাস্থ্য উপেক্ষা করতে বাধ্য হন। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও এর ব্যতিক্রম নয়। কখনও সিনেমার শ্যুটিং, কখনও প্রচার, আবার কখনও চরিত্রের গভীরে ডুবে যাওয়া—এই সমস্ত কিছুই একজন শিল্পীর জীবনের অঙ্গ। তবে এর জন্য অনেক সময় তাদের চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
রুক্মিণী মৈত্র, টলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রী এবং মডেল, যিনি নিজেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে নিয়ে গিয়েছেন। মডেলিং দিয়ে শুরু করলেও, অভিনয়ে তাঁর প্রতিভা বারবার দর্শকদের মন জয় করেছে। বিশেষ করে তাঁর সাম্প্রতিক ছবি ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’ তাঁকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। নবীন নটী বিনোদিনীর চরিত্রে তাঁর অভিনয় দক্ষতা সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি যেমন স্বতন্ত্র, তেমনই কাজের ক্ষেত্রে নিবেদিত প্রাণ।
তবে রুক্মিণীর জন্য এবারের যাত্রাপথ সহজ ছিল না। ছবির শ্যুটিং থেকে শুরু করে মুক্তির পর একটানা প্রমোশনাল ইভেন্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং ক্লান্তি তাঁকে শারীরিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। জ্বর ও দুর্বলতার কারণে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তবে এখানেই গল্পে রয়েছে চমক। ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করে রুক্মিণী জানিয়েছেন, “লড়াই এখনও চলছে।” এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি যেমন অনুরাগীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছেন, তেমনই তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রুক্মিণী অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে তিনি এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তাঁকে এখনও বিশ্রামে থাকতে হবে। রুক্মিণীর দ্রুত সুস্থতার জন্য টলিউড তারকারা এবং অনুরাগীরা শুভকামনা জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ শুভশ্রীকে অপমান করেছিলেন দেব, ‘ও রসকষহীন ও আবার ভালোবাসা বোঝে নাকি’ কটাক্ষ ফেরালেন রাজ?
রুক্মিণীর এই লড়াই শুধুমাত্র তাঁর শারীরিক অসুস্থতার বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি একজন শিল্পীর কাজের প্রতি ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগের উদাহরণ। তাঁর এই সাহস ও সংকল্প অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নতুন প্রজন্মের কাছে। এখন সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাঁকে আবার ক্যামেরার সামনে দেখার জন্য।