গত বৃহস্পতিবার, স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৪ আগস্টের ভোরটা টলিউডে এক উৎসবের সকাল হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ এক দশকের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পেল ‘ধূমকেতু’ (Dhumketu)। প্রথম শো শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রেক্ষাগৃহে মানুষের ঢল। ভক্তরা হাতে ব্যানার, মুখে উচ্ছ্বাস নিয়ে হাজির, যেন তাদের প্রিয় জুটিকে বড়পর্দায় ফিরে দেখার আনন্দ ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ছে না। দেব-শুভশ্রীর এই প্রত্যাবর্তন শুধু তাদের অভিনয় জীবনেই নয়, সমগ্র ভক্ত সমাজের জন্য এক আনন্দঘন মুহূর্ত।
পরিচালক রাজ চক্রবর্তী এদিন সকালে সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে এই আনন্দ ভাগ করে নেন। তিনি স্ত্রী শুভশ্রী এবং ছবির পুরো টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেন, “এত বছরের প্রতীক্ষা এবার শেষ। ‘ধূমকেতু’ উদযাপন শুরু এবার। সবার উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো, গোটা টিমকে আমার তরফ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। সবাই বড়পর্দায় ধূমকেতু দেখুন!” রাজের এই উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে যে, ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিকূলতা উড়িয়ে তিনি স্ত্রীর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
অন্যদিকে, দেবের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই দিনে রুক্মিণী মৈত্র নীরব থেকেছেন! সম্প্রতি দাদু হারানোর শোক তাকে মানসিকভাবে খুব প্রভাবিত করেছে। রুক্মিণীর জীবনে দাদু ছিলেন এক গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক, তাই এই শোকের মধ্যেও তিনি কাজের বাইরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “সদ্যই আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ দাদুকে হারিয়েছি, এই শোক কাটাতে সময় লাগবে।”
উল্লেখ্য, দেবের জীবনে রুক্মিণী শুধু প্রেমিকা নয়, বরং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সমর্থকও। ‘ধূমকেতু’-র মুক্তির দিনেও তিনি উপস্থিত থেকে প্রেমিকের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করবেন, অথবা সমাজ মাধ্যমে কোনও বিশেষ বার্তা দেবেন— এমনটাই ভেবেছিলেন ভক্তরা। কিন্তু অভিনেত্রী একটা শব্দ পর্যন্ত করলেন না এদিন, উল্টে নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে ছবির সাফল্যের পুজো দিতে গিয়ে দেব অভিনেত্রীর নামেও পুজো দিয়েছেন।
এমন অবস্থায় অতীতের গুঞ্জন আবার সামনে উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, অতীতে তাদের দুজনের সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে কিছু গুঞ্জন থাকলেও, তা নাকি তাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারেনি। রুক্মিণী এই ছবি মুক্তি নিয়ে বারবার নিজে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। এমনকি নেটমাধ্যমে ছোট ছোট রিলের মাধ্যমে দেবের ছবি ও মুক্তি উদযাপনেও অংশ নিয়েছেন, যা ভক্তদের আনন্দ দ্বিগুণ করেছে। কিন্তু এদিন তাঁর নীরবতা অনেক প্রশ্ন জাগিয়ে দিল ভক্তদের মনে।
আরও পড়ুনঃ “আমার মেয়েটা স্পেশ্যাল চাইল্ড…যদি ওর সমস্যা হয়, আমি পৃথিবীর খারাপ বাবা!” “ওকে নিয়ে অনেক স্বপ্নই অপূর্ণ থেকেছে, কিন্তু ময়ুরাক্ষী থেকে শিখছি জীবন পাঠ!”— কন্যার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন আবির!
শেষে বলাই যায়, প্রথম দিনের প্রদর্শনীই প্রমাণ করেছে যে ‘ধূমকেতু’ দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে ছবির একাধিক শো হাউজফুল এবং দেব ভক্তদের ভালবাসায় আপ্লুত। তিনি সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছেন, “এটা তো সবে শুরু! পিকচার তো আভি বাকি হ্যায়।” শুধু দর্শকই নয়, পুরো টিমের কঠোর পরিশ্রম এবং দেব-শুভশ্রীর ভক্তদের একঝাঁক উচ্ছ্বাসে ছবিটি ইতিমধ্যেই সফলতার শুরু চিহ্নিত করেছে।
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!