ঐন্দ্রিলা শর্মা আর সব্যসাচী চৌধুরী এই দুটো নাম এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব চেনা। দু গোটা দুটো সপ্তাহ কেটে গেছে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। আর সেই সময় তার পাশে রয়েছে পরিবারের সকলে এবং কিছু কাছের বন্ধু সেই সঙ্গে বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী।
কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে চর্চার বিষয়বস্তু হয়েছে ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচীর প্রেম কাহিনী। একদিকে সকলেই ঐন্দ্রিলার সুস্থতা কামনা জন্য প্রার্থনা করে যাচ্ছে এবং অন্যদিকে শুভেচ্ছা এবং ভালবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছে এই জুটিকে। আবার অনেকেই লিখতে দেখা যাচ্ছে যে হয়তো সব্যসাচী কে দেখেই তারা আবার নতুন করে ভালোবাসায় বিশ্বাস করতে শুরু করছে।
তবে ঐন্দ্রিলার এই লড়াইয়ে এই কয়েকদিন শুধু পাশে নেই সব্যসাচী। এর আগেও যতবার সে অসুস্থ হয়েছে ততবার তার পাশে থেকেছে সব্যসাচী। আর সেই দেখে এখন নেটিজেনদের কাছে সব্যসাচী হয়ে উঠেছেন একজন শ্রেষ্ঠ প্রেমিক এবং তাদের প্রেম কাহিনী রূপকথার কাহিনীর মত।
কিন্তু কিভাবে শুরু হয়েছিল এই সম্পর্ক। প্রসঙ্গত বাংলা টেলিভিশনের ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিক দিয়েই ঐন্দ্রিলার টিভির পর্দায় প্রথম আসা। সেই ধারাবাহিকেই ঐন্দ্রিলার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। সেখান থেকেই তাদের বন্ধুত্ব হয় এবং পরে তা প্রেমে পরিণত হয়।
গত কয়েকদিন যবে থেকে ঐন্দ্রিলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তবে থেকেই সেখানেই বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন সব্যসাচী। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছিলেন, ‘এক মিনিটের জন্যও হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছেন না সব্যসাচী। হাসপাতালের সামনেই বেশ কিছু ছোট ছোট খাবারের দোকান আছে। সেখানে সন্ধ্যেবেলা ম্যাগি খেয়েই পেট ভরিয়ে নিচ্ছেন। কখনও কখনও নিজে থেকেই চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল…।”
খুব স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী। এখনো পর্যন্ত কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোন কথা বলেননি। শুধু মাঝেমধ্যে ঐন্দ্রিলার শারীরিক সুস্থতা এবং সেই নিয়ে ভুয়ো খবর এইসব নিয়েই তাকে কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি কাতর ভাবে সবার কাছে আরজি জানিয়েছিলেন কিছু একটা মিরাক্কেল হওয়ার জন্য প্রার্থনা করতে।
প্রসঙ্গত গতকাল সব্যসাচী একটা দীর্ঘ পোস্ট করেন সেখানে তিনি ঐন্দ্রিলার কিছুটা শারীরিক উন্নতির কথাও জানান। সেইসঙ্গে তার অসুস্থতা এবং সব্যসাচী ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে নানা রকম সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট নিয়ে অনেক কিছু লেখেন। তবে শেষে সব্যসাচীর সঙ্গে সকলেরই প্রার্থনা যে ঐন্দ্রিলা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক আর এই ভালোবাসা চিরস্থায়ী হোক।