“সাধক রামপ্রসাদের বংশধর স্বামী কাঞ্চন মল্লিক”— দাবি স্ত্রী শ্রীময়ীর! ‘বহুবিবাহ প্রথা চালু করা লোকটা নাকি সাধক বংশের!’ ‘স্ত্রী-সন্তান ত্যাগ করেছে, কুলা’ঙ্গার ছাড়া আর কিছুই না!’—ইতিহাস শুনেই অভিনেতাকে তীব্র কটাক্ষ নেটিজেনদের !

বিধায়ক এবং অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের (Kanchan Mullick) বাড়িতে এবারের কালীপুজো যেন হয়ে উঠেছে আধ্যাত্মিকতার চেয়ে বড়ো এক সামাজিক নাটক! তবে, পুজোর আয়োজন নিয়ে কোনো খামতি রাখেননি কাঞ্চন-শ্রীময়ী দম্পতি। আগের রাত থেকেই শুরু হয় সাজসজ্জা, কালীঘাটের দোকান থেকে আসে বেনারসি শাড়ি, গয়না বানানো হয় আগে থেকেই অর্ডার দিয়ে। এই বছর নাকি মিনে কাজ করা সোনার হার পরানো হয়েছে মাকে। এবারের পুজোটা শ্রীময়ীর (Sreemoyee Chattoraj) কাছে আরও বিশেষ— ছোট্ট ‘কৃষভি’র প্রথম দীপাবলি বলে কথা!

গত বছর গর্ভাবস্থার জন্য ভোগ রাঁধতে পারেননি, তাই এবার স্বামী-স্ত্রী মিলে সব করেছেন, মন খুলে উপভোগও করেছেন উৎসব। তবে, গল্পটা শুরু হয়েছিল অন্যভাবে। কাঞ্চন নাকি বহু বছর কালীপুজোর দিন নিজের বাড়ি অন্ধকার রাখতেন। কারণ, দু’বার সেই রাতে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন তাঁর মা— একবার আ’গুনে দ’গ্ধ, অন্যবার হাঁটুর হাড় ভেঙে যায়। তাই অভিমানে প্রদীপও জ্বালাতেন না তিনি। ঠিক তখনই শ্রীময়ী জীবনে আসেন, বলেন—”মা কালী তোমার পুজো চাইছেন!” সেই থেকেই ফের শুরু হয় কাঞ্চনের পৈতৃক বাড়ির কালীপুজো।

এক অর্থে, এই পুজোই যেন তাঁদের সম্পর্কের সূচক হয়ে উঠেছে। পাঁচ বছরে পড়ল তাঁদের এই পুজো, কিন্তু এবার মায়ের আরাধনার চেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে কাঞ্চনের বংশপরিচয়! স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ জানিয়েছেন, কাঞ্চন নাকি ‘সাধক রামপ্রসাদের বংশধর’। শুনে অনেকেরই চায়ের কাপ হাতে কফি ছিটকে পড়েছে! কিন্তু শ্রীময়ীর কথায় স্পষ্ট, তিনি এই বংশপরিচয়ের বিষয়ে খুব একটা জানেন না, শুধু শুনেছেন। তবুও সমাজ মাধ্যম থেকে সাধারণ মানুষের মুখে– সব জায়গাতেই এখন এই কথাটাই ঘুরছে।

আলোর এই উৎসবকেও ছাপিয়ে গেছে বিতর্ক। শ্রীময়ীর মন্তব্য— “কাঞ্চনের মা সাধক রামপ্রসাদের বংশধর”, শুনে নেটিজেনদের কেউ কেউ হাসিতে ফেটে পড়েছেন, কেউ আবার সরাসরি আক্রমণ করেছেন। “সাধক রামপ্রসাদের সাথে পরিচয় না জোড়াই ভালো। স্ত্রী-সন্তান ত্যাগ করে যে আবার বিয়ে করতে পারে সে কুলাঙ্গার ছাড়া আর কিছুই না!”—লিখেছেন একজন। অন্যজনের কটাক্ষ, “হ্যাঁ আর কাঞ্চনের বাবা কি রঘু ডাকাতের বংশধর? চুরির পরিমাণ দেখে বলছি!” আবার কেউ ঠাট্টা করে লিখেছেন, “কোথাও ভুল হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ “আমি না সবার ভাবা উচিত বাংলায় বাচ্চা জন্ম দেবে কিনা!” “আমি রাজনীতি করিনি, যাঁরা আমার বক্তব্য বিকৃত করেছেন, তাঁরা আসলে…”— কুণাল ঘোষের কটাক্ষে এবার সরাসরি আ’ক্র’মণ সোহিনীর! শাসকদলের মুখপাত্রকে আয়না দেখালেন অভিনেত্রী

ওটা রামছাগল বা রামপাঠাঁ জাতীয় কিছু হবে বোধহয়!”—হাসির ইমোজি ছুটছে মন্তব্যে মন্তব্যে। আরও একজনের শঙ্কা, “একদিন শুনবো শ্রীময়ী শ্রী কৃষ্ণের বংশধর!” কেউবা তীব্র আক্রমণে বলেছেন, “রামপ্রসাদ পাঁঠা ব’লী দিত সেই পাঁঠা বংশের কাঞ্চন! কি দিনকাল পড়লো, আবার বহুবিবাহ প্রথা চালু করা লোকটা নাকি সাধক বংশের!” সব মিলিয়ে, কালীপুজোর ধূপ-ধুনোর গন্ধে যখন ভেসে ওঠার কথা বিশ্বাসের, তখন সেই সুবাসে মিশে গেছে ব্যঙ্গ আর বিদ্রূপের তীব্র ঝাঁজ। আর বরাবরের মতোই আলোর উৎসবেও কাঞ্চন-শ্রীময়ী বিতর্কের কেন্দ্রে!