কসমেটিকস কোম্পানির সেলসম্যান থেকে নির্ভরযোগ্য অভিনেতা! কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গেছেন কিন্তু লোক হাসানো ছাড়েননি শুভাশিস মুখোপাধ্যায়

টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় হাস্যকৌতুক অভিনেতা যে শুভাশিস মুখোপাধ্যায় সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অভিনয় দিয়ে মানুষকে যে খাঁটি বিনোদন তিনি দিতে পারেন সেই গুনই তাঁকে অন্যান্য তারকাদের থেকে আলাদা করে চিনিয়েছে।

কোনও ছবির হাসির চরিত্রে পরিচালকরা শুভাশিসকে ছাড়া আর কাউকে কল্পনাও করতে পারতেন না। যে মানুষ সকলকে নিপাট হাসিয়েছেন তিনি কতটা পরিশ্রম করেছেন জানেন?

কলকাতাতেই স্কটিশ চার্চ স্কুল থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজ থেকে বি.কম ডিগ্রী লাভ করেন শুভাশিস। অনেকেই তাঁকে অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়ের পুত্র বলে ভাবতেন। কিন্তু শুভাশিসের বাবা একজন চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট।

খুব ভালো ক্রিকেট খেলতেন কিন্তু আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে স্বপ্নতেও ক্রিকেট খেলার কথা ভাবতে পারতেন না এই অভিনেতা। এক কসমেটিকস কোম্পানিতে চাকরি দিয়ে শুরু হয় তাঁর কর্মক্ষেত্র। এরপর মুদ্রণ মাধ্যমেও কাজ করেন। ১৯৮৭ সালে পূর্ণেন্দু পাত্রীর ‘ছোটো বকুলপুরের যাত্রী’ ছবি দিয়েই অভিনয় জীবনে পা রাখেন।

কত ভালোবাসা, বকুল প্রিয়া, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ, প্রতিদ্বন্দ্বী, গুরু শিষ্য, সংসার সংগ্রাম, দাদা ঠাকুর, সজনী, সূর্য, আক্রোশ, রাজমহল, মেঘে ঢাকা তারা, খোকাবাবু, গুগোল-এর কীর্তি ইত্যাদি অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন শুভাশিস। মহালয়া’ ছবিতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চরিত্রে, ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ ছবিতে গোরা পুরোহিতের চরিত্রে নিজের ঘরানা থেকে একেবারে আলাদা চরিত্রে কাজ করেছেন। এছাড়াও নানান ওয়েব সিরিজ ও ধারাবাহিকেও নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।