প্রেম গেল তলে, এখন দাদা বলে! আইনি বিচ্ছেদ হতেই পৃথা প্রাক্তন স্বামী সুদীপকে ডাকছেন ‘দাদা!’ সোশ্যাল মিডিয়ায় সুদীপ-পৃথার নয়া রসায়নকে পাল্টা কটাক্ষ- ‘স্বামী থেকে ‘দাদা’, এবার কি ‘কাকু’ হবে পরবর্তী ধাপ?’

আইনি বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই, কিন্তু টলিউডের জনপ্রিয় জুটি ‘সুদীপ মুখোপাধ্যায়’ (Sudip Mukherjee) এবং ‘পৃথা চক্রবর্তী’র (Preetha Chakraborty) সম্পর্ক দেখে তা বোঝার উপায় নেই। একসঙ্গে অনুষ্ঠান, পার্টি, বন্ধুদের আড্ডা—সবেতেই এখনও তাঁদের দেখা যায় পাশাপাশি। অনেকে হয়তো জানেন না, পৃথা এখন তাঁর আসল নাম সঞ্চারী ব্যবহার করছেন সামাজিক মাধ্যমে। সম্পর্কের নাম বদলালেও, তাঁদের মধ্যেকার আত্মিক টান আজও নাকি একই রকম!

আর সেই সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলল সম্প্রতি পৃথার একটি পোস্টে। সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছেন পৃথা, যেখানে দুই ছেলে ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কাটানো ছবি উঠে এসেছে। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “ছবিগুলো তুলে দিয়েছেন মুখার্জি দা।” আর এই ‘মুখার্জি দা’ কে বলুন তো? তাঁরই প্রাক্তন স্বামী সুদীপ মুখোপাধ্যায়! শুধু তাই নয়, সুদীপকে ওই পোস্টে ট্যাগও করেছেন তিনি।

বিচ্ছেদের পর ‘স্বামী’ থেকে তিনি হয়ে গেলেন ‘দাদা’—এ আবার কী! তাঁদের বিচ্ছেদ যথেষ্ট আলোড়ন তুলেছিল সমাজ মাধ্যম। সুদীপ-পৃথা দু’জনেই আগে থেকে কোনও ইঙ্গিত দেননি সেই ভাঙনের। বরং একসঙ্গে ছেলেদের সঙ্গে ছবি, পারিবারিক অনুষ্ঠান, হাসিমাখা মুহূর্ত সবই চলত একইভাবে। আচমকা খবর আসে বিচ্ছেদের। যদিও বিচ্ছেদের কথা প্রথমে অস্বীকার করেছিলেন সুদীপ, পরে নিজেই স্বীকার করেন এই নতুন জীবনের সিদ্ধান্ত।

তবে ব্যক্তিগত বিষয়ে মুখ না খোলার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অভিনেতা। এই জুটির মধ্যে সব কিছু শেষ হয়ে গেলেও বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে অটুট। বিচ্ছেদের পরও একে অপরের জীবনে সক্রিয় উপস্থিতি যেন তাঁদের সম্পর্কের পরিপক্কতার পরিচয় দেয়। ছেলে, পরিবার, বন্ধুরা—সবকিছু ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও দূরত্ব তৈরি হয়নি। বরং সময়ের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক আরও স্বচ্ছ হয়েছে, যেখানে নাম বা স্ট্যাটাস কোনও বড় বিষয় নয়।

আরও পড়ুনঃ “জীবনে হারতে শেখা জরুরি”—নতুন প্রজন্মের দুর্বলতার মূল কারণ বললেন ক্যান্সারজয়ী অভিনেতা চন্দন সেন!

সুদীপ-পৃথার এই ব্যতিক্রমী সম্পর্ক নেটিজেনদের মনও ছুঁয়ে যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, বিচ্ছেদ মানেই শেষ নয়, বরং এক নতুন অধ্যায়ের শুরুও হতে পারে। তাঁদের এই পরিণত বন্ধুত্ব, এবং হাস্যরসের রসায়নে ভরা যোগাযোগ নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। সমাজ যেখানে বিচ্ছেদের মানে ‘সম্পর্কের মৃত্যু’ ধরে নেয়, সেখানে সুদীপ-পৃথারা প্রমাণ করছেন—সম্পর্ক বদলালেও শ্রদ্ধা আর আন্তরিকতা টিকে থাকে, যদি সেটা ঠিকভাবে লালন করা যায়।

You cannot copy content of this page