টলিউডে নক্ষত্রপতন, চলে গেলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক রাজা মিত্র

টলিউড সিনেমা জগতে নক্ষত্র পতন, চলে গেলেন পরিচালক রাজা মিত্র। টলিউডের সিনেমা জগতের পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম পরিচিত মুখ ছিল রাজা মিত্র। কত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ চলতি বছরের ১৯শে ডিসেম্বর এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। পরিচালকের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। শত যুদ্ধের পরেও মারণ রোগ ক্যান্সারের কাছে হেরে গিয়েছেন।

সিনেমা জগতের পরিচালকের পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে একটি ‘জীবন ছবির’ হাত ধরে। পরিচালকের এই প্রথম ছবি জিতে নিয়ে আসে জাতীয় পুরস্কার। এরপর একে একে অগণিত সিনেমা উপহার দিয়ে গেছে বাংলার দর্শকদের। পরিচালক মূলত ভালবাসতেন তথ্যচিত্র নিয়ে সিনেমা বানাতে। পরিচালকের সিনেমার ঝুলিতে রয়েছে অগুনিত তথ্যচিত্র কেন্দ্রিক ছবি, যা কিনা বাঙালির মনের মনিকোঠায় রয়েছে।

পরিচালকের সকল সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলি হল- ‘কলকাতা’, ‘অতীত ও বর্তমান’, বিদ্যাসাগর’, ‘আশ্রয়’, ‘জীবন পটুয়া’ ইত্যাদি সিনেমা সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। পরিচালকের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই শোকোস্তব্ধ হয়ে পড়েছে সমগ্র টলিউড পরিবার। পরিচালকের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়া খবর জানিয়েছেন তাঁর ছেলে রৌদ্র মিত্র। ছেলে তার বাবার উদ্দেশ্যে বলেছেন, “চলচ্চিত্রে ৬বারের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী (স্বর্ণকমল ও রজতকমল মিলিয়ে), ঋজু শিরদাঁড়া, জেদি এবং বরাবরই স্পষ্টবাদী আমার বাবা, রাজা মিত্র আজ গভীর রাত ৩টের সময়ে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে প্রয়াত হয়েছেন।”

‘আরও পড়ুন: ঘুমের একি ধুম!’ স্বীকৃতি দুপুর দু’টোয়, অনুশা বিকেল ছটায়… দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে নায়িকাদের ঘুমের গল্প মিস করবেন না

শোক প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচালক অতনু ঘোষ লিখেছেন, “চলে গেলেন রাজাদা। যার তৈরি প্রথম ছবি ‘একটি জীবন’ বাংলার সিনেমা জগতের মাইলফলক। পরিচালক স্মৃতিচারণা করে আরও বলেন যে, সম্ভবত দূরদর্শনে গিয়েই আমাদের প্রথম আলাপ। এমনিতেই আমি খুব মুখচোরা, আর সেইখানে উনি ওতো নামী মানুষ। তারপর বুঝি বড়ো পরিচালকের কোনও ভার নেই। দিব্যি সহজেই কথা বলা যায়, প্রশ্ন করা যায়। অনাথের গান্ধীর হাত তুলে দিয়ে বলেছেন- ওটা দেখলাম। বেশ করেছ, এখন কি ভাবছো? অক্সিজেন পেয়েছি।”এছাড়াও, আরও অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন।