তিনি ভারতবর্ষের (India) জনপ্রিয়তম গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। বাংলা ও বাঙালি তথা ভারতবাসীর কাছে আবেগের অন্যতম নাম। অরিজিতের গানে বিস্ফোরণ ঘটে আবেগের, ভালোবাসার। দেশ বিদেশের খ্যাতি সমৃদ্ধ করেছে অরিজিতকে। কিন্তু আজও মাটিতে পা দিয়েই সাফল্যের উড়ান ভরার স্বপ্ন দেখেন তিনি। কোনও কিছুতেই এলিট ব্যাপারটা ছুঁতে পারেনা অরিজিতকে! সরল, ভীষণভাবে স্বাভাবিক, অহংকারহীন এই মানুষটাতেই মজে দেশবাসী।
অরিজিৎ ভারতবর্ষের ‘মেলোডি কিং’। রোমান্টিক গান হোক বা ট্রাজেডি, কিংবা বিরহের গান তাঁর গান মোহিত করে শ্রোতাকে।তাঁর গানে নতুনকে খোঁজা চেষ্টা করে অনেকে তাঁর গান কতশত মন ভাঙা যুবক-যুবতী’র আশ্রয় ঘর। তবে অত্যন্ত সহজেই সাফল্য তাঁর হাতে ধরা দেয় নি। প্রচুর পরিশ্রম, ব্যর্থতা, স্ট্রাগল শেষে সাফল্যের মুখ দেখেন অরিজিৎ।
বাংলা থেকে শুরু করে বলিউড সবেতেই অবাধ বিচরণ অরিজিতের। নামিদামি তারকা থেকে শুরু করে আমজনতা তাঁর ভক্তকূল। তাঁর সুরের যাদুতে মুগ্ধ আসমুদ্র হিমাচল। প্রভূত সম্পত্তির মালিক অরিজিৎ। জানা যায়, গায়ক এক একটি গান গাইতে প্রায় ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন। তাবড় বলিউডি তারকাদেরও অর্থনৈতিক দিক থেকে হার মানাবেন তিনি। উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে প্রকাশিত ক্যানবি লাইফস্টাইল-এর রিপোর্ট অনুযায়ী অরিজিৎ সিং-এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭১.০৫ কোটি টাকা। জানা গেছে, মাসে প্রায় ৪ থেকে ৫.৮ কোটি টাকা উপার্জন করেন গায়ক। তাঁর এক একটি কনসার্টের টিকিট বিক্রি হয় কয়েক হাজার-লাখ টাকা দামে।
কিন্তু টাকার গরম কোনোদিনই তাঁকে ছুঁতে পারেনি। ভীষণ রকমের সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত এই নামী গায়ক। অরিজিৎ সিং এর জীবনের একটি নীতি আছে। আর কয়েক কোটি টাকার বিনিময়েও সেই নীতি থেকে সরবেন না তিনি। কোনওদিনই নিজের পশ্চিমবঙ্গের জিয়াগঞ্জের বাড়ি ছেড়ে বিলাসবহুল কোনও বাড়িতে থাকতে যাবেন না অরজিৎ এমনটাই তাঁর পণ। আসলে তাঁর কাছে শিকড় বাঁধা জিয়াগঞ্জে। আর তাই জিয়াগঞ্জের মাটি থেকে দূরে গিয়ে তিনি ভালো থাকেন না। বাড়ি তাঁকে ভীষণ টানে। আর তাই যতই প্রতিপত্তিশালী তিনি হয়ে উঠুন না কেন, জিয়াগঞ্জের বাড়ি ছেড়ে তিনি কোথাও যাবেন না। কোটি কোটি লোভ দেখালেও যাবেন না।