Ma Serial Actress: যোগ্যতা থাকলেও হাতে নেই কাজ! এখন কোথায় মা ধারাবাহিকের দজ্জাল ভিলেন ‘ফুলকি’?
বাংলা ধারাবাহিকের দুনিয়ায় কিছু কিছু ধারাবাহিক চিরকালীন হয়ে রয়েছে। এই ধারাবাহিক গুলির আলাদাই কদর, গুরুত্ব, আবেগ রয়েছে দর্শকদের মনে। আর তেমনই একটি ধারাবাহিক হল ‘মা'(Maa)। সিরিয়াল প্রেমী বাঙালির নিশ্চয়ই মা ধারাবাহিকটি মনে আছে? মেয়েকে হারিয়ে তাঁকে খুঁজে পাওয়ার এক অদম্য লড়াই লড়া মায়ের কাহিনী চোখে জল এনেছিল দর্শকদের। মা ও মেয়ের এই গল্প মন ছুঁয়ে গিয়েছিল বাঙালি দর্শকদের।
উল্লেখ্য, একটা সময় বাংলা টেলি জগতকে কাঁপিয়েছিল এই সিরিয়ালটি। মায়ের সঙ্গে মেলায় মেয়েকে হারিয়ে ফেলার গল্পকে ঘিরে এগিয়ে চলে এই সিরিয়াল। এই ধারাবাহিকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী মহুয়া হালদার ও মেয়ের চরিত্রে অভিনেত্রী তিথি বসু। আর বড় ঝিলিকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে নজর কেড়েছিল আরও একটি চরিত্র। নেগেটিভ চরিত্র হলেও নিজের অভিনয় দক্ষতায় দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন তিনি। ভিলেন ফুলকির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী অস্মিতা চক্রবর্তী।
শেষের দিকে গল্পের গরু গাছে উঠলেও টিআরপি রেটিংয়ে নিজের স্থান ধরে রেখেছিল এই ধারাবাহিক। ২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক শেষ হয় ২০১৪ সালে। ঝিলিক এবং ফুলকির জমাটি অভিনয় মুগ্ধ করেছিল। অস্মিতার মুখের এক্সপ্রেশন, কথা বলার ধরন রীতিমত গায়ে জ্বালা ধরাতো দর্শকদের। রীতিমতো টেলিভিশনের দাপুটে ভিলেন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আজ সেই ধারাবাহিক বন্ধের ৯ বছর পরেও দর্শকরা তাঁক মনে রেখেছে ফুলকি নামেই।
কিন্তু এই ধারাবাহিক বন্ধের পর কোথায় যেন উবে গেলেন ফুলকি। তাঁকে সেই রকম ভাবে আর কোনও ধারাবাহিকেই দেখেনি বাঙালি দর্শক। একটি youtube চ্যানেলে মুখ খুলে ছিলেন তিনি। জানিয়েছেন লক ডাউন পরবর্তী হাতে আর বিশেষ কাজ নেই তাঁর। যদিও এখনও তিনি আশা রেখেছেন আগামী কোনও ধারাবাহিকে তাঁকে হয়তো দেখতে পেতে পারেন তাঁর দর্শকরা। ধারাবাহিকের পাশাপাশি কোনও ওটিটি প্লাটফর্মেও দেখা যাচ্ছে না তাঁকে যেখানে তাঁর সমসাময়িক বহু অভিনেত্রীরাই নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন। তাঁর কথায় তাঁকে হয়তো মনে পড়ছে কারর।
যদিও এত কিছু সত্ত্বেও ভেঙে পড়েননি অভিনেত্রী। তাঁর বিশ্বাস তিনি একদিন না একদিন ঠিক ফিরবেন তিনি পর্দায়। অভিনেত্রীর কথায় জীবনে কোনও কিছুই খুব সহজে পাননি তিনি। সবকিছুর জন্য স্ট্রাগল করতে হয়েছে তাঁকে। তাই যদি যেচে তাঁর হাতে কাজ না আসে তাহলেও তিনি আশাহত হবেননা। তিনি অপেক্ষায় বিশ্বাসী। প্রতিবাদ করতে জানেন না তিনি। আর তাই আশা রেখেছেন কোনদিন না কোনদিন কেউ না কেউ তাঁর প্রতিভার গুরুত্ব দিয়ে তাঁকে নিশ্চয়ই কাজ দেবে। তাকে পর্দায় দেখতে উৎসুক তাঁর ভক্তরাও।