দেখতে দেখতে নটা দিন কেটে গেছে বাংলার জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা না ফেরার দেশে চলে গেছেন। এখনো তার মৃত্যু শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন নি তার পরিবার থেকে বন্ধুবান্ধবরা। দীর্ঘ কুড়ি দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পরে গত ২০শে নভেম্বর শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী।
দুবার মারণরোগ ক্যান্সারকে হারানোর পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। তৃতীয়বার এই মারণ রোগের কাছে হার মানতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। কিন্তু কেমন আছেন অভিনেত্রীর পরিবার এবং সেই সঙ্গে অভিনেত্রীর প্রেমিক সব্যসাচী? সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে ঐন্দ্রিলার বাবা জানিয়েছেন যে ২০২৩ এ মেয়ের বিয়ের চিন্তাভাবনা করেছিলেন তারা।
প্রসঙ্গত এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে ঐন্দ্রিলার বাবা জানান বুধবার ঐন্দ্রিলার স্মৃতিতে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তারা। তার সাথে উত্তমবাবু বললেন, “আমরা একে-অপরকে সামলানোর চেষ্টা করছি মাত্র।”
এছাড়া এই দিন অভিনেত্রীর বাবা বললেন, “ভেবেছিলাম তো অনেক কিছুই। ইচ্ছে ছিল, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নাগাদ ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর বিয়েটা দিয়ে দেব। ফোনে সব্যসাচীর বাবার সঙ্গে কথা হয়েছিল এ ব্যাপারে। সব্যসাচীর বাবা বলেছিলেন, আমাদের বাড়িতে এসে কথা বলবেন।”
তারপরে ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মাকে একই কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে বললেন, “আমার মেয়ে এবং সব্যসাচী হরিহর আত্মা। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ ওদের বিয়ে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা করেছিলাম। বারবার সবাই বলছে ঐন্দ্রিলা ছিল…ছিল বলছে… সবটাই অতীত হয়ে গিয়েছে এর মধ্যেই, বলুন…”
তারা দুজন যে কতটা কাছাকাছি ছিল তা প্রত্যেকেই জানে। গোটা লকডাউন এ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। কোন বাচ্চা খেতে পারছে না, কারা ওষুধ পাচ্ছে না সকলের দরকারে ছুটে গিয়েছেন এই দুই অভিনেতা অভিনেত্রী। এসব কিছু মনে করেই এখন মেয়ের স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছেন এই দুই বাবা মা।
মেয়ের শেষ কটা দিন যে শারীরিক যন্ত্রণা পেয়েছে তা পুরোটাই তাদের নিজের চোখে দেখা। তাই সেগুলো কে মনে করে দু চোখের পাতা এক করতে পারছে না তারা। এদিন অভিনেত্রীর মা বলেন, “ও আমাদের পরিবারের প্রাণ ছিল… আমাদের মেরুদণ্ড… কী নিয়ে থাকব এখন…”