রেগে গিয়ে বাড়ির মেঝেতে গড়াগড়ি খায় তন্বী লাহা রয়! দিদি নং ওয়ানে ফাঁস টেসবুড়ির জীবনের অজানা রহস্য
ধারাবাহিকে যেরকম পজেটিভ চরিত্রের গুরুত্ব থাকে সেরকম কিন্তু নেগেটিভ চরিত্রগুলো নিজেদের রোল ভালো করে না প্লে করলে সিরিয়াল দেখতে আমাদের কিন্তু ভাল লাগেনা। একটুখানি শয়তানি না থাকলে সিরিয়াল দেখে মজা নেই। তবে কিছু কিছু সিরিয়ালে আবার কুটনামি এত বেশি দেখানো হয় যে মানুষ নিতে পারে না।
জি বাংলার মিঠাই সিরিয়াল এমন একটি সিরিয়াল যেখানে খুব বেশি শয়তানি দেখানো হয় না। এর আগে সোম নেগেটিভ ক্যারেক্টার করছিল কিন্তু পরবর্তীকালে সে ভালো হয়ে যায়। তবে একজন কিন্তু বরাবর এই সিরিয়ালে ভিলেন হিসেবে রোল প্লে করেছে। সে হলো তোর্সা রয়। সিডি বয়ের কলেজ লাইফের বেস্ট ফ্রেন্ড এবং যার স্বপ্ন ছিল সিদ্ধার্থের বউ হয়ে মোদক পরিবারে ঢুকবে। সিডকে টেস মনে মনে ভালোওবাসে। কিন্তু সিদ্ধার্থ তাকে বন্ধু ছাড়া অন্য কোনো চোখে দেখেনি।মিঠাই সিদ্ধার্থের স্ত্রী হওয়ায় তাকে বারংবার অপদস্থ করে টেস বুড়ি কিন্তু পরে নিজেই ঝামা খেয়ে যায়।
কয়েক সপ্তাহ আগে হওয়া হেলদি হেঁসেল কম্পিটিশনে যেভাবে তোর্সাকে হারিয়েছিল মিঠাই তা দেখে ভীষণ আনন্দ পেয়েছিল দর্শকরা। তবে বর্তমানে আমরা মিঠাইকে অনেকদিন হলো তোর্সাকে দেখতে পাইনি।তার কারণ হলো তোর্সা তার প্রচন্ড কাজের চাপ থেকে কিছু দিনের বিরতি নিয়ে সপরিবারে পুরী ঘুরতে গেছিলেন। সেইজন্যে মিঠাই সিরিয়ালে তাকে আমরা দেখতে পাইনি।
তবে তিনি আবার ফিরে এসেছেন এবং গতকাল তাকে আমরা দেখতে পেলাম দিদি নং ওয়ানের মঞ্চে। সেখানে মা সুদেষ্ণা লাহা রয়ের সঙ্গে এসেছিল তন্বী। এই এপিসোড থেকেই আমরা তন্বীর জীবনের অনেক অজানা কথা জানলাম তার মায়ের মুখে।
জানা গেল যে তন্বী ছোটবেলায় খুব রাগী ছিল। রেগে গেলে সে নাকি মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদত। আর পাড়ার লোক সেই কান্না শুনে ছুটে আসত বাড়ির সামনে।তারা ভাবতেন তন্বীর মা-বাবা তন্বীকে খুব অত্যাচার করছেন। তার মা রাগ কমানোর জন্য তাকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাইয়েছিলেন। এই কথা শুনে রচনা হেসে গড়াগড়ি দেন।
তন্বী জানিয়েছে যে এখনো পর্যন্ত তার জীবনে কোন মনের মানুষ আসেনি।তবে সে বিয়ে একদম করতে চায় না কিন্তু মা তার জন্য কখনও ডাক্তার পাত্র খুঁজছে আবার কখনো গায়ক পাত্র খুঁজছে।পাত্র খোঁজার উৎসাহ দেখে মাঝে মাঝে তার মনে হয় সে তার মা’ই বোধহয় দ্বিতীয়বার বিয়ে করবে। তন্বীর জীবনের অনেক অজানা কথা জানতে পেরে অনেকেই ভীষণ খুশি।