আবারও টলমল পরীমণি-রাজের দাম্পত্য! ওপার বাংলার এক নায়িকার সঙ্গে অ’শ্লী’ল ছবি ফাঁস
আজ আড়ি কাল ভাব। ওপার বাংলার নায়ক নায়িকা দম্পতি রাজ-পরীর সম্পর্কের সমীকরণ অনেকটা এইরকম। তবে এখন আর শুধুমাত্র ওপার বাংলা নয় এপার বাংলাতেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন পরীমণি। নতুন বছরের শুরুতেই হঠাৎ মডেল, অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙেন বাংলাদেশের বিতর্কিত অভিনেত্রী পরীমণি। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন বাংলাদেশী এই অভিনেত্রী । সাংবাদিক বৈঠক ডেকে গার্হস্থ্য হিং’সার কথাও বলেন ওপার বাংলার সুন্দরী অভিনেত্রী।
সেইসময় অবশ্য পরীমণির উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজ বলেন, ‘‘আমার বেডরুমটা ব্যক্তিগত জায়গা, যা এখন হাটেবাজারে চর্চার বিষয় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমি চুপচাপ থাকতে চাই। পরী যা মন চাইছে ও করুক, আমি আটকাব না।’’ তবে তীব্র ঝামেলা অবশেষে মিটে যায়। এক হয়ে যান রাজ-পরী। নিজেদের ছোট্ট ছেলে রাজ্যর কথা মাথায় রেখে আবার গুছিয়ে নেন নিজেদের দাম্পত্য।
তবে ফের একবার পদ্মাপাড়ের হাওয়ায় টলমল রাজ-পরীর সম্পর্ক। ফের একবার বাংলাদেশের অন্য এক অভিনেত্রীর দিকে তাঁর স্বামীকে কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন পরীমণি। উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাৎ সোমবার মধ্যরাতে পরীমণির স্বামী শরিফুল ইসলাম রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু ছবি ও অ’শ্লী’ল ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওপার বাংলার অভিনেত্রী সুনেরাহের সঙ্গে অ’শ্লী’ল চ্যাটে মত্ত অভিনেতা রাজ। যথারীতি এই ঘটনা ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি।
এই বিষয়ে সুনেরাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘রাজকে আমি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনি। সে আমার প্রিয় বন্ধু ছিল। তবে রাজের বিয়ের পর থেকে আর তেমন যোগাযোগ ছিল না আমাদের। সেদিন একটি ডাবিং স্টুডিওতে দেখা হল আমাদের। আমরা একসঙ্গে ছবি তুললাম। জানি না, নিজের পুরনো বন্ধুর সঙ্গে একটি ছবি তোলা এমন কী অপরাধের বিষয়।’
যদিও ওই অভিনেত্রী ইঙ্গিতে পরীমণির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছেন, রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে এই কান্ড ঘটিয়েছেন পরীমণি নিজেই। যদিও পরীমণির দাবি বিগত ১০ দীন ধরে রাজ তাঁর সঙ্গেই নেই তাহলে তাঁর ফোন থেকে তিনি এইসব কিভাবে করবেন? অভিনেত্রীর অভিযোগ একটা চক্রান্ত হচ্ছে তাঁর পিছনে। তাঁর থেকে রাজকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে অভিনেত্রী হুমকি দিয়ে বলেছেন যদি এই সমস্ত নোংরা কাজের জন্য যদি তাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয় তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেবেন তিনি। যদিও এখন নীরব রাজ।