খালি পায়ে, আদিবাসী পোশাকেই পদ্মশ্রী সম্মান নিতে উপস্থিত কর্নাটকের আদিবাসী বৃদ্ধা তথা “বনের বিশ্বকোষ” তুলসী গৌরা!সকলে জানাল কুর্নিশ

কর্নাটকের তুলসী গৌরার নাম একদিনে সকলেরই প্রায় জানা হয়ে গিয়েছে। তাঁর অভাবনীয় কাজের জন্য সকলেই তাঁকে কুর্নিশ জানায়। এমনকি কর্নাটকের এই আদিবাসী বৃদ্ধার কাজকে সম্মান জানিয়ে, তাঁকে দেওয়া হয়েছে পদ্মশ্রী পুরস্কার।

এবছর পদ্মশ্রী সম্মান পাওয়ার তালিকায় নাম ছিল ১১৯ জনের। যেখানে জনপ্রিয় তারকা থেকে শুরু করে নাম ছিল সাধারণ মানুষের। কিন্তু সমস্ত তারকা ব্যক্তিত্বকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন কর্নাটকের আদিবাসী বৃদ্ধা তুলসী গৌরা। তাঁর বয়স ৭৭ বছর। মূলত তিনি ভারতবর্ষের সবুজকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে গিয়েছেন ছয় দশক ধরে এবং গড়ে তুলেছেন একটি সবুজ এলাকা। নিজে হাতে পুঁতেছেন ৩০ হাজার চারা। একটু একটু করে যত্ন সহকারে তাদেরকে বড় করে তুলেছেন তুলসী গৌরা।

তাঁর এই কাজে হতবাক সকলে। এদিন পদ্মশ্রী সম্মান নেওয়ার তালিকাতে ছিল তাঁর নাম। যেখানে ট্র্যাডিশনাল পোশাকেই পৌঁছেছিলেন সম্মান নিতে। একেবারে সাদামাটা শাড়ি পরে এদিন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী সম্মান নেন কর্ণাটকের এই আদিবাসী বৃদ্ধা। যেখানে সকলের নজর পড়ে তাঁর পায়ের দিকে। কেন? আদতে এদিন তিনি খালি পায়েই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। যেখানে বড় বড় ব্যক্তিত্বরা আভিজাত্যপূর্ণ পোশাক-আশাক পরে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে, সেখানে খালি পায়ে একদম সাদামাটা পোশাকে ধরা দিয়েছেন তুলসী গৌরা।

এই মুহূর্তে তিনি নার্সারির কাজে বেজায় ব্যস্ত। তাঁর কাছে রয়েছে গাছ নিয়ে জ্ঞানের সমাহার। যেখানে একদল মানুষ ধ্বংস করে বেড়াচ্ছে সবুজকে, সেখানে তিনি বাঁচিয়ে রাখছেন অরণ্যকে। দু’বছর বয়সে হারিয়েছেন বাবাকে। অনেক কষ্টে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেয়ে জীবন চলেছে। যখন বয়স ১২ সেইসময় অরণ্য দফতরে তিনি একজন কর্মী হিসেবে কাজ করেন।

অবশেষে তাঁর কাজে সকলেই খুশি হন এবং যার জন্য তিনি একটি স্থায়ী চাকরিও পান। এরইসঙ্গে যেভাবে সবুজকে তিনি বাঁচিয়ে চলেছেন একটু একটু করে, তা সত্যিই অবাক করেছে সকলকে। এত বড় একটা সম্মান তাঁর প্রাপ্য।