দীর্ঘ ২০ বছরের দুষ্টু মিষ্টি খুনসুটি সম্পর্ক তাদের। জয় সরকার এবং লোপামুদ্রা মিত্র বাংলা গানের অন্যতম জনপ্রিয় দুই শিল্পী। তবে এক সংসারে থাকলে একটু ঠোকাঠুকি লাগবেই এত স্বাভাবিক।
দুজনেই সংগীতের জগতের মানুষ। তবে এই নিয়ে কখনো সমস্যা হয়নি? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান ‘অবশ্যই হয়েছে। আর সেই গল্পটি আমি নানা জায়গায় বলেছি। জয় একটি গানে সুর দিয়েছিল। খুবই ভাল গান। আমি ভেবেছিলাম গাইব। কথা দিয়েও কথা রাখেনি জয়। অভিমান হয়েছে। দেড় মাস তার জন্য কথা বলিনি ওর সঙ্গে। পরে আফশোসও হয়নি। বেশ করেছি কথা না বলে।’’
সেই গান শোনেননি এমন বাঙালি খুব কমই আছেন। শুভমিতার কণ্ঠে দেখেছ কি তাকে নীল নদের ধারে, জয়ের সুর করা এই গান গাওয়ার কথা ছিল লোপামুদ্রা।সারাদিন ওই গান নিয়ে অনুশীলন করেন তিনি।সেই দেখে শুভমিতা বলেছিলেন, ‘‘লোপাদি, তুমি ওই গানটার জন্য চর্চা করছ, তাই না?’’ লোপামুদ্রা বলেছিলেন, ‘‘হ্যাঁ, আসলে আমি তো এই ধরনের গানে অভ্যস্ত নই, তাই সারা দিন চর্চা করছি।’’
কিন্তু নিজের গানের অ্যালবাম সেই গান রাখতে পারেননি লোপামুদ্রা। জয় সরকার সেই গান শুভমিতা কে দিয়ে গাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তারপরেই অভিমান।
তবে কিভাবে ভাঙলো সেই অভিমান? গায়িকার কথায়, ‘‘এক রাতে শো করে ফিরছি। গাড়িতে রেডিওয় গানটি চলছে। কী ভাল! শুভমিতা বড়ই ভাল গেয়েছিল গানটা। তখন মনে হয়, কোন গান কে পাবে, তা তো কেবল সুর পরিচালকেরই সিদ্ধান্ত। আমার সেটা নিয়ে মান অভিমান করাটা ঠিক নয়।’’
তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। ব্রততী বন্দোপাধ্যায় মজা করে বলেছিলেন লোপা তার ছেলেকেই বুঝি বিয়ে করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের খুনসুটি দেখে নেটিজেনরা মজে থাকেন।তবে তারকা দম্পতির সংসারে কার রাজ চলে?
লোপামুদ্রা কথায় মিলিজুলি সরকার’। তিনি আরো জানান‘‘মিত্র-রাজ নয়, আবার সরকার-রাজও নয়। দু’জনের মিলিত সিদ্ধান্তে সংসার চলে। আমাদের মধ্যে অলিখিত চুক্তি হয়ে গিয়েছে এই ২০ বছরে। এ এটার মধ্যে ঢুকবে না। ও ওটার মধ্যে ঢুকবে না।’’