বিগত দুমাস ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। পল্লবী দে থেকে শুরু করে বিদিশার মজুমদার সকলের মৃত্যুই মানুষ মেনে নিতে পারেনি। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আরেক জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। আবার সাধারণ মানুষের মনে উঠল অনেক প্রশ্ন।
আগে আমরা দেখেছিলাম পল্লবীর এর মৃতদেহ উদ্ধারের পর তার লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিকের দিকে আঙুল তুলে ছিল তার পরিবার। সাগ্নিকের একের পর এক কুকীর্তি ফাঁস হতে থাকে এবং স্পষ্টতই বোঝা যায় যে সাগ্নিক মানসিকভাবে অসুস্থ কারণ সে কিছুদিন এক মেয়ের সঙ্গে কাটাবার পর অন্য মেয়ের দিকে তার স্বয়ংক্রিয়ভাবে মন চলে যেত। অন্যায় ভাবে প্রচুর টাকা উপার্জন করে মেয়েদের দামী দামী উপহার দিয়ে তাদেরকে গার্লফ্রেন্ড বানাত সে। এমনকি কেয়ারিং একটা ভাব দেখাতো যে মেয়েরা ভুলে যেত তার ছল চাতুরী তে। ঠিক যেভাবে পড়েছিলেন পল্লবী দে এবং পরবর্তীকালে তার জীবনটাই চলে যায়।
এবার ঠিক এমনটাই ঘটলো এই অভিনেত্রীর সঙ্গে। তার মৃত্যুর পর অভিযোগের আঙুল উঠেছে তার লিভ ইন পার্টনারের দিকে। ভুবনেশ্বরের নয়াপল্লী এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বছর ২৩-এর অভিনেত্রী। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত তাঁর দেহ। পাশাপাশি সেই ঘর থেকেই উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। মেয়ের আত্মহত্যা কোনমতেই মেনে নিতে পারছেন না অভিনেত্রীর বাবা। মেয়ের মৃত্যুর জন্য লিভ ইন পার্টনার সন্তোষ পাত্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অভিনেত্রীর বাবা। ইতিমধ্যেই পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। পুলিসের তরফ থেকে জানানো হয়, তদন্ত শুরু হয়েছে, পোস্ট মর্টেমের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিস। প্রাথমিক রিপোর্টে এটি আত্মহত্যাই বলে দাবি পুলিসের।
এই অভিনেত্রী হলেন উড়িষ্যার জনপ্রিয় ওড়িয়া অভিনেত্রী রশ্মিরেখা ওঝা।সুইসাইড নোটে নিজের মৃত্যুর জন্য় কাউকেই দায়ী করেননি অভিনেত্রী। রশ্মিরেখার বাবা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য তাঁর বয়ফ্রেন্ডই দায়ী। শনিবার বাবার ফোন পিসিভ করেননি অভিনেত্রী। এরপর সন্তোষই রশ্মিরেখার মৃত্যুর খবর অভিনেত্রীর পরিবারকে জানায়। স্বামী স্ত্রীর পরিচয়েই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন রশ্মি ও সন্তোষ, এমনটাই জানান বাড়ির মালিক। ওড়িয়া ধারাবাহিকে অভিনয় করেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রশ্মিরেখা। ঠিক এমনটাই ঘটেছিল পল্লবীর সঙ্গে।