একের পর এক নতুন ধারাবাহিক নিয়ে আসছে স্টার জলসা। কাকে রেখে কাকে শেষ করবে আর তার জায়গা বদলাবে এখনো পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না। সদ্য শুরু হয়েছে সাহেবের চিঠি আর এক্কা দোক্কার সময় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন নবাব নন্দিনী বাকি রয়েছে আর এর মধ্যেই চলে এলো নতুন ধারাবাহিক মাধবীলতার প্রোমো।
গতকাল মাঝরাতে স্টার জলসায় প্রথম দেখানো হয় এই প্রোমো আর আজ ভোরবেলা স্টার জলসার ফেসবুক পেজে দিয়ে দেওয়া হয়েছে মাধবীলতার প্রোমো। গল্প আমাদের চেনা কিন্তু হয়তো কোন নতুনত্ব আছে। তবে একটা ব্যাপার দেখার মত যে জি বাংলার অধিকাংশ তারকা এখন স্টার জলসায় চলে এসেছেন। বিশেষ করে যমুনা ঢাকি সর্বজয়ার প্রায় সব চরিত্ররাই রয়েছেন এই ধারাবাহিকে। প্রধান ভূমিকায় অবশ্যই বরণ খ্যাত রুদ্রিক সুস্মিত মুখার্জি এবং জীবন সাথী খ্যাত ঝিলম শ্রাবণী ভুঁইয়া। এছাড়াও প্রধান চরিত্রে রয়েছেন কুশল চক্রবর্তী এবং যিনি এখন গৌরী এলো ধারাবাহীকে ঈশানের ছোট ঠাম্মি সাজছেন তিনি।
পুরুলিয়ার পাহাড়ি এলাকায় শুটিং হয়েছে। যেখানে প্রভাবশালী কুশল চক্রবর্তী এলাকার জঙ্গল কেটে সাফ করে দিচ্ছেন অথচ আদিবাসীদের সামনে বৃক্ষ রোপণের নাটক করছেন। তার ছেলে সুস্মিত মুখার্জি ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার এবং সে যখন জঙ্গলে ঘুরে ফটো তুলতে যায় তখন দেখে যে কয়েকজন গাছ কাটতে এসেছে সেখানেই তখন ঝাঁপিয়ে পড়ে শ্রাবণী। সে একজন আদিবাসী মেয়ে এবং দাঁ কাটারি নিয়ে সে যারা কাজ কাটতে এসেছে তাদেরকে মারধর করে। সে বলে দেয় যে গাছ তার মা আর জঙ্গল তার প্রাণ তাই নিজের জীবন থাকতে গাছ সে কাটতে দেবে না।
প্রোমো দেখে ভালই লেগেছে দর্শকদের তবে তারা চিন্তায় রয়েছেন যে এইরকম আদিবাসী মেয়ে এবং শহুরে বড়লোকের ছেলে অনেকবার দেখানো হয়েছে ধারাবাহিকের পর্দায়। জি বাংলায় পিলুকে আমরা বদলে যেতে দেখেছি।
তবে স্টার জলসার সেই ইষ্টিকুটুমের বাহারাণীকে কেউ ভুলতে পারেনি।বলছেন যে শ্রাবণীর সঙ্গে সুস্মিতের বিয়ে হবে এবং সে শ্বশুরের সঙ্গে টক্কর দেবে এটা তো স্পষ্ট। তবে বিয়েটা যেন উড়ন্ত সিঁদুরে বা উড়ন্ত মালায় না হয়। প্রতিবাদ করতে গিয়ে যেন শ্বশুরের মন জয় করতে না বসে। আর বটেক বটেক করে শেষ পর্যন্ত গল্প থেকে যেন না বেরিয়ে যায়।