Amazing Story: লকডাউনে অভাবে পড়ে বেচতে হয়েছে সবজি, আজ তিনি ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা হৃত্বিক মুখার্জি! 

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে একটা করে টার্নিং পয়েন্ট আসে। যখন টানা দুঃখের মধ্যে থেকে আমরা হঠাৎ করে এক টুকরো সুখ খুঁজে পাই। সবথেকে জানাশোনা টার্নিং পয়েন্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে বলিউড এবং টলিউড ইন্ডাস্ট্রির মানুষের জীবন। আজ আপনাদের এমন এক অভিনেতার কথা শোনাবো জীবন কাহিনী শুনলে আপনাদের চোখে জল চলে আসবে।

তিনি হলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা হৃত্বিক মুখার্জি। জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক এই পথ যদি না শেষ হয়তে তিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন। এই চরিত্রে অভিনয় করে ঋত্বিক প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। কিন্তু তার জীবনটা এতটা সোজা ছিল না।আজ যে তিনি এত খ্যাতি পেয়েছেন তার পেছনে রয়েছে বহু বছরের টানা পরিশ্রম।

সম্প্রতি ইউটিউবে জোশ টকসে এসে নিজের জীবনের লড়াই এর কথা তুলে ধরলেন ঋত্বিক। জানালেন কতটা পরিশ্রম করে আজকে তিনি এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। তিনি কলেজের পড়াশোনা শেষ করে ভাবেন যে এবার তিনি কী করবেন? তখন তার এক বন্ধু তাকে বলে অভিনয় করার কথা। কিন্তু অভাব তার স্বপ্ন পূরণের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

এরপর থিয়েটার দিয়ে অভিনয় যাত্রা শুরু করেন ঋত্বিক মুখার্জি। যারা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত তারা খুব ভাল করেই জানেন থিয়েটারে টিকে থাকাটা কতটা মুশকিল। সেটা চালানোর জন্য তাই পার্ট টাইম কাজ করছিলেন ঋত্বিক নিজে। কিন্তু তাতেও হচ্ছিল না। টাকা জমানোর জন্য থিয়েটার ছেড়ে তিনি কাজে ঢোকেন। এক বছর পর আবার থিয়েটারে ফিরে আসেন। এইভাবে জীবনের পাঁচ বছর কেটে যায়। শেষে অভিনয়ের আশা ছেড়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।

তারপর একসময় আবারও অভিনয়ের ডাক আসে শর্ট ফিল্মের জন্য। কাজের পাশাপাশি রবিবার করে অভিনয় শুরু করেন। ‘Once Humble Theater Group’ ইন্টারভিউ দিয়ে সুযোগ মেলে। আড়াই বছর ধরে সোহাগ সেনের সঙ্গে কাজ করেন ঋত্বিক। কিন্তু লকডাউন হতেই সমস্ত পরিস্থিতি বদলে যায়। জমানো সমস্ত টাকা শেষ হয়ে যায়। একটা সময় ফোনে রিচার্জ করানোর টাকা ছিলনা।

এরপরেই জীবনের চরম সিদ্ধান্ত নেন ঋত্বিক মুখার্জি। সবজি বিক্রি করতে রাস্তায় বসেন ঋত্বিক। হ্যাঁ আপনি ঠিকই পড়ছেন। কিন্তু লকডাউন খোলার পর তার সবজি বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে এরপর তার কি করে চলল?

এরপর প্রথমা কাদম্বিনীতে তার অভিনয়ের ডাক আসে।তারপরেই এই পথ যদি না শেষ হয় ধারাবাহিকে তিনি মুখ্য চরিত্রের জন্য ডাক পান।আর সেই চরিত্রে অভিনয় করে এখন তো তিনি ইতিহাস লিখে দিয়েছেন। ঘরে ঘরে সাত্যকি হিসেবে তাকে মানুষ প্রচন্ড ভালোবাসে। এই মানুষের অনুপ্রেরণার কাহিনী আশা জাগাবে আপনাদের জীবনেও।