টেলিভিশনের পর্দায় অনেক সময় বিভিন্ন দুঃসাহসের কাহিনী দেখতে পাই আমরা। বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে দিয়ে ঘটে যায় বিভিন্ন দুঃসাহসিক কাণ্ড। পর্দায় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এমন কাণ্ড করতে দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় দর্শকদের।
কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানি না বাস্তব জীবনে অনেক নায়ক-নায়িকা দুঃসাহসী। হয়তো ঘটনাক্রমে তাঁরা সাহসী হয়ে উঠেছিলেন বা পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়েছিলেন এমন কিছু কান্ড করতে যাতে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে আসতে পারেন। তবুও নিজেদের শক্তির আন্দাজ করতে পেরেছিলেন তাঁরা। আর সেই গল্প খুব কম সামনে আসে।
এবার এমনই এক গা ছমছমে অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। যদিও নায়িকার আসল নামের থেকেও তিনি বেশি পরিচিত যমুনা ঢাকি হিসেবে। তবে শুধুমাত্র ধারাবাহিক নয় আরো প্রচুর হিট ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন মুখ্য চরিত্র রূপে।
শ্বেতা জানান একবার এক ওষুধের দোকানে নিজের ফোন দুটি পাশে রেখে ওষুধ কিনেছিলেন নায়িকা। তখন তিনি বুঝতে পারছি না কেউ তাঁকে ফলো করছে। ওষুধ কিনে রাস্তায় হাঁটতে শুরু করলে একটি ছেলে তাঁর হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। নায়িকা একেবারেই ভয় না পেয়ে তাঁর পিছনে দৌড়াতে শুরু করেন।
শেষ পর্যন্ত ছেলেটিকে ধরে নিয়ে তার কলার ধরে ফেলে ফোন দুটি কেড়ে নেন শ্বেতা। দুজনের মধ্যে এলোপাথাড়ি হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। ছেলেটি চড় মারে নায়িকাকে। শ্বেতাও পাল্টা চড় দিয়েছিলেন। এরপরেই রক্তাক্ত কান্ড ঘটে যায় কারণ ছেলেটি ব্লেড বের করে অভিনেত্রীর হাত কেটে দেয়। শেষমেষ পাড়ার লোক এগিয়ে এসে ছেলেটিকে বেধরক মারে। সেদিন গায়ের জোর এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন এই নায়িকা। নইলে হয়তো বেঁচে ফিরতে পারতেন না।