ঢাক বাজছে, সঙ্গে উলুধ্বনি। সেই সঙ্গে জ্বলজ্বল করছে মা দুর্গার মুখ। বাঙালিদের কাছে পুজোয় এটুকুই প্রাপ্তি। আর সেই প্রাপ্তির সূচনা হয় মহালয়ার হাত ধরে। আজ সেই পবিত্র দিন। সকাল থেকে বাঙালির মনে পুজোর ঘন্টা বেজে গেছে। আর অপেক্ষার তর সইছে না। কতক্ষণে প্যান্ডেলে গিয়ে ঢাকের আওয়াজে মন নেচে উঠবে তার অপেক্ষা।
এই আমেজ আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে সকাল সকাল মহালয়ার অনুষ্ঠান এবং রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী। রেডিওর পাশাপাশি আজকাল টেলিভিশন এবং ডিজিটাল পর্দায় মহালয়ার অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে রেডিও ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন চ্যানেলে মহালয়া স্পেশাল অনুষ্ঠান।
তবে এর পাশাপাশি ডিজিটাল দুনিয়াতে নতুন সংযোজন ডিজিটাল মহালয়া। এখনকার প্রজন্মের কাছে এটা বাড়তি পাওনা। এই শুভদিনে টেলিভিশনের দুই তারকা নতুন রূপে দেখা দিলেন ডিজিটাল পর্দায়। অভিনেতা জন ভট্টাচার্য এবং অভিনেত্রী সৃজলা গুহ প্রথমবার জুটি বাঁধলেন পুজো স্পেশাল মিউজিক ভিডিওর জন্যে। মিউজিক ভিডিওর নাম “এলো রে পুজো এলো”।
টেলিভিশনের বড় খলনায়ক ওমি আগরওয়াল ওরফে জন এবং মিষ্টি অভিনেত্রী পিহু ওরফে সৃজলা গুহকে এভাবে দেখতে পেয়ে অভিভূত ভক্তরা। পাশাপাশি অভিনেতা জননের নাচ দেখে তাঁর প্রেমে পড়েনি এমন বাঙালি মেয়ে এখনকার প্রজন্মে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দুজনের একটা মিষ্টি পুজোর প্রেমের গল্প দেখতে পাওয়া যাবে এই মিউজিক ভিডিওতে।
তবে এই নিয়ে দুজন এবার সমালোচনার মুখোমুখি। আসলে গানের মধ্যে সেই পুজো পুজো আমেজ আর বাঙালিয়ানার ছাপ খুঁজে পাচ্ছে না দর্শকরা। তার উপর দুজনের পোশাকে নেই বাঙালি ছোঁয়া। পশ্চিমী পোশাকে দুর্গাপুজোর নাচে এই জুটিকে দেখে হতাশ অধিকাংশ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। তার উপরে নাচের স্টেপস সম্পূর্ণ পশ্চিমী। পুজোর গান নামমাত্র, বক্তব্য তাদের।