জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে বন্ধু হে আমার… ঠিক এভাবেই নিজের প্রাণের মানুষটিকে শেষ বিদায় জানালেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। গতকাল রাতের পর আজ নতুন সকাল। তবু সেই স্মৃতি সেই ঘোর কাটছে না কারুর। ফিরে ফিরে আসছে কালকের যন্ত্রনাভরা সন্ধ্যা।
১৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। গতকাল দুপুরে অর্থাৎ রবিবার প্রয়াত হয়েছেন তিনি। রেখে গেলেন মা-বাবা, দিদি এবং কাছের মানুষ সব্যসাচী চৌধুরীকে।
গতকাল খবরটা পাবার পর থেকেই সকলের মনে একটাই ভাবনা ছিল যাবতীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন ঠিকই কিন্তু সব্যসাচী! এবার কিভাবে সামলাবেন তিনি এই বিরহের যন্ত্রনা? কেমন রয়েছেন তিনি এই প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে আসছিল সকলের মনে। যদিও বিষয়টা খুবই স্বাভাবিক যে তিনি ভেঙে পড়বেন। বারবার মনে আসবে শেষ মুহূর্তের স্মৃতিগুলো। তবু সমস্ত যন্ত্রণা মনের মধ্যে চেপে রেখে শান্তভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন সব্যসাচী নিজের হাতে।
তারপর? সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নেট নাগরিকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গেছে গঙ্গায় অস্থি বিসর্জনের পর উঠে আসছেন সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলার বাবা উত্তম শর্মা। দেখা গেছে প্রেমিকাকে চিরতরে শেষ বিদায় জানিয়ে শান্ত ধীর পায়ে উঠে এলেন সব্যসাচী। তারপর এক বন্ধুর সঙ্গে অনেকক্ষণ গঙ্গার দিকে তাকিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সেই সময়টাই ছিলেন সম্পূর্ণরূপে নিশ্চুপ। হয়তো মনে মনে প্রার্থনা করছিলেন যে থেকে যাওয়াটা আদরের প্রেমিকার কাছে ছিল কষ্টের কিন্তু বিদায়টা যেন হয় শান্তির।