গত কয়েক বছর যখন গোটা দেশ সহ পৃথিবী অতিমারির কবল থেকে নিজেদের বের করে আনার চেষ্টা করছিল, সেই সময় এক প্রকার সুপারহিরোর মতো অসহায় মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলিউডের অভিনেতা সোনু সুদ। সোনুকে টিভির পর্দায় ভিলেনের চরিত্রে দেখা গেলেও আদতে তিনি যে গরিবের ভগবান তা অনেকেই বারবার বলেছেন। সেভাবে আরো একবার বিহারের গ্রাজুয়েট চাওলি সোনুর হাত ধরেই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এই গ্রাজুয়েট চাওলি বিহারের পাটনা এলাকায় নিজের চায়ের দোকান খুলে প্রশাসনের ক্ষোভের মুখে পড়েন।
আর সেই সময় অনেকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন, তিনি কিন্তু তার কোন লাভ হয়নি। তাই অবশেষে প্রিয়াঙ্কা নিজের অসহায় অবস্থার কথা জানিয়ে একটি ভিডিও করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে । আর তা কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। তবে ভিডিওটিতে ঠিক কি বলা ছিল?
ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায় কাঁদতে কাঁদতে প্রিয়াঙ্কা বলছেন যে তিনি বিহারে অন্য ধরনের কিছু করতে চেয়েছিলেন সে সময় তাকে অনেকেই সাহায্য করেছিল কিন্তু তারপরেই প্রিয়াঙ্কার আফসোসের সুরে বলে, ‘এটা তো বিহার। এখানে মহিলাদের জায়গা রান্না ঘরেই। তাই এখানকার মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এগোতে পারে না। আসলে তাদের এগোতে দেওয়া হয় না’
তার সাথে প্রিয়াঙ্কাকে আরো বলতে শোনা যায় ‘পাটনা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য অবৈধ দোকান যেখানে ব্যবসা চলছে, মদ বিক্রি হচ্ছে কিন্তু সেটা কারো নজরে পড়ে না. কিন্তু যখন একটা মেয়ে ব্যবসা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইলো তখনই সমস্যা তৈরি হলো’। তাই বিহারে প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কার প্রশ্ন ছিল ‘আমার কাজ কি শুধু রান্না করা? ঘর মোছা, বিয়ে করে সংসার করা, ব্যবসা করার কোন অধিকার নেই আমার’?
Please 🙏🙏🙏🙏 support graduate chaiwali (Priyanka didi) pic.twitter.com/QPRyEVGbAv
— abhinav (@abhi_m_s90) November 14, 2022
এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে নজরে আসে অভিনেতা সোনু সুদের। তারপরেই প্রিয়াঙ্কার ভিডিওটি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে টুইট করে অভিনেতা লেখেন ‘প্রিয়াঙ্কার চায়ের দোকানের সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। আর কেউ তাকে সরে যেতে বলবে না’। তারপরে আবার অভিনেতা জানান যে তিনি নিজে খুব তাড়াতাড়ি বিহারে গিয়ে প্রিয়াঙ্কার হাতের চা খেয়ে আসবে। যতদূর জানা যায় অর্থনীতিতে স্নাতক প্রিয়াঙ্কা চাকরি না পেয়ে বাবা-মাকে সাহায্য করতে বাধ্য হয়ে চায়ের দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু পাটনার প্রশাসনের তরফ থেকে তার বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।