তিনি সফল নাট্যকার, পরিচালক। বাংলা ছবিতে হাত দিয়েও ব্যর্থ হননি সুমন মুখোপাধ্যায়। কিন্তু বিগত পাঁচ-ছয় বছর ধরে তিনি বাংলা থেকে দূরে বাস করছেন। কেন? একটি সংবামাধ্যমের অনলাইন সাক্ষাৎকারে অতিথি হয়ে আসা সুমনকে এই প্রশ্ন করা হয়।
এর উত্তরে ভাসে অভিমান, অভিযোগ। কোনওভাবে একা হয়ে গিয়েছিলেন মঞ্চ-পর্দার সফল এই মানুষটি। তাঁর কাজের মধ্যে দিয়েও পাননি সমাধান। এরপরেই কবীর সুমনের গানের লাইনের সূত্র ধরে তিনি বলেন যে হ্যাঁ হ্যাঁ বলে সং সেজে থাকতে পারবেন না তিনি। ছবি বা নাটক করার স্বার্থে কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতা তিনি কখনোই করবেন না এমনটাও জানালেন সুমন। আর তাঁর কাছে এর থেকে একা থাকা শ্রেয়।
বলা বাহুল্য অভিযোগের তীর রাজনীতির দিকেই। কৌশিক সেন, ব্রাত্য বসু, দেবেশ রায় চৌধুরী এবং সুমন এক সময়ে সুস্থ প্রতিযোগিতার বন্ধু ছিলেন। এখনও আছেন। কিন্তু সেই টান আর প্রকাশ করেন না কেউই। এর কারণ অন্যান্যরা রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতে পেরেছেন। বদলে গেছে কাজের পরিবেশ এবং কাজের মানুষদের মনোভাব। আর তিনি তা বদলাতে পারেননি বলেই একা থেকে গেলেন। দমবন্ধ অনুভব করতে করতে মুক্ত বাতাস খুঁজছিলেন। সেই সময়েই ডাক আসে আরব সাগরের তীর থেকে। শরীরের থেকেও বেশি মন ভালো রাখতে সুমন পাড়ি জমান সেখানেই।
তবে মুম্বই চোখ খুলে দিয়েছে তাঁর। অন্য কোথাও কাজ করা এবং নিজের জায়গায় সৃষ্টি করার পার্থক্য বুঝতে পারেন তিনি। বিনোদন জগতে ভালো আটক বা ছবি বানাতে গেলে যে নিজের মাটিতে থেকেই তা করতে হয় সেটা টের পেয়েছেন সুমন। তাই আবার কাজের তাগিদেই নিজের মাটিতে ফেরা তাঁর।