বাংলা টেলিভিশনে স্টার জলসার একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ধুলোকনা। আর কয়েকদিন পরেই শোনা যাচ্ছে এই ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাবে। সম্প্রতি এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে লালনের চরিত্রের মধ্যে বারবার নানা রকম দ্বন্দ্ব ফুটে উঠছে। লালন সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার পর থেকে তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে সে তিতির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।
তারপর কিছু স্মৃতি তার ফিরে এলে সে ফুলঝুরিকে চিনতে পারে এবং তার কাছে ফিরে যায়। কিন্তু সেই সময় লালনের চরিত্রের মধ্যে দেখা যায় অন্য এক দ্বন্দ্ব। তখন সে জানায় সে তিতির এবং ফুলঝুরি দুজনকেই পছন্দ করে। তখন সে তিতিরের কাছে ফিরে যায়। কারণ সে জানায় তার তিতিরের কাছে থাকতে ভালো লাগে। এরপরে ফুলঝুরি এবং লালন একে অপরকে ডিভোর্স দেয়।
তারপর তিতির এবং লালনের বিয়ের ঠিক হয়। বিয়ের দিন হঠাৎ লালন জানতে পারে ফুলঝুরির মাথায় একটা টিউমার হয়েছে এবং তার একটি অপারেশন হচ্ছে যার ফলে তার প্রাণ সংশয় হতে পারে। এইসব শুনে তার সব স্মৃতি মনে পড়ে যায় এবং তার মনে হয় ফুলঝুরি তার জীবনের সব, সে বিয়ে ভেঙে চলে আসে হাসপাতালে। সেখানে এসে সে ফুলঝুরির বৌদিকে বলে যে আমি এতদিন একটা ট্রমার মধ্যে ছিলাম কিন্তু আজ আমি সবটা বুঝতে পেরেছি ।
এরপর দেখা যায় হাসপাতালে তিতির এবং তিতিরের বাড়ির লোকজন আসছে। তিতিরের মাকে লালন বলে যে-আমি এতদিন অনেক কিছু ভুল করেছি কিন্তু আজ আমি সমস্ত সত্যিটা উপলব্ধি করেছি ফুলঝুরি আমার জীবনের সব আমি আর অন্যায় করতে পারবো না।
এরপর সে তিতিরের মাকে বলে যে তিতিরকে একটা ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিতে। এমনকি সে ভালো ছেলের সন্ধান করে দিতে পারে বলেও জানায়। এই এপিসোড দেখে একজন নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে,“লালন এখন তিতিরের মাকে বলছে।তিতিরের একটা ভালো দেখে বিয়ে দাও এক মুখে কত কথা বলে এই লালন”।